জাতীয়তাবাদী যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান বলেছেন, লাশের ওপর সরকার টিকে থাকতে চায়। জনবিচ্ছিন্ন সরকার ক্ষমতার মসনদে থাকার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই মিছিলে গুলি চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের খুন করা হয়েছে। কিন্তু লাশের ওপর সরকার টিকে থাকতে পারবে না। সারাদেশের যুব সমাজ ঐক্যবন্ধ হয়ে কঠোর আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপর প্রতি ফোটা রক্তের জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটি খুনের বিচার করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনের বাস ভবনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাঁর পরিবারের খোঁজ নেন মামুন হাসান।
সব সময় ওই পরিবারের পাশে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের কোটি মানুষের দাবি আদায়ের আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে আব্দুর রশিদ আরেফিন শহিদ হয়েছেন। তার এই রক্ত বৃথা যাবে না। তার প্রতিফোটা রক্তের জবাব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই নিশিরাতের সরকার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয় না। এমনকি এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কেউ ভোট দিতে পারে না। স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনেও কেউ ভোট দিতে পারে না। নামাজ পড়ুক আর না পড়ুক, মসজিদ কমিটিও গঠন করা হয় আওয়ামী লীগের পছন্দমত লোকদের দিয়ে। এই সরকার সবকিছু করায়ত্ব করে রেখেছে। দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সবকিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে গেছে। তাই মানুষ জেগেছে সরকারের পতন অনিবার্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি রুহুল আমিন আকিল সহ বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ।