ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো কমলো। গতকাল সোমবার (৬ জুন) ডলারের বিপরীতে টাকার মান ১ টাকা ৬০ পয়সা কমে বিনিময় মূল্য হয় ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) তা আরো ৪৫ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সায়।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডলারের দর ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে পাঁচ দিনে চার দফায় দাম কমলো টাকার। গত মে মাসেও ডলারের বিপরীতে চার দফা টাকার মান কমেছিল।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মার্কিন ডলারের দাম ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যা তার আগে ছিল ৮৯ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রবাসীদের খুশি করার জন্য প্রকৃত দরের উপর মূল্যায়ন করে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা। ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার বিনিময় মূল্য ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা ধরে ১৩০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে এ অর্থবছরে ৬০৭ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ মে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার ৮৯ টাকা বেঁধে দেয়। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির জন্য বিসি সেলিং রেট নির্ধারণ করা হয় ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা।
তবে সে সময় ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৯ টাকা ৮০ পয়সার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাতেও বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় দুই টাকা পাঁচ পয়সা বাড়িয়ে ৯১ টাকা ৯৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ মূল্য। আর খোলাবাজারে প্রতি ডলারের মূল্য রাখা হচ্ছে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকা পর্যন্ত।