বাজারে ডলারের দাম ওঠানামা করলেও খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ডলারের রেট বাড়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ডিফারেন্স (পার্থক্য) আছে, সেটি আমরা স্বীকার করি। আমাদের মূল্যস্ফীতিতে আমদানি মূল্যস্ফীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন বাইরে থেকে মালামাল ক্রয় করি, রেটের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, যেহেতু রফতানি বাড়ছে, তাই আমদানিও বাড়ছে। আমদানির জন্য ফাইন্যান্সিং করা লাগে। তাই মার্কেটও ওঠানামা করবে। তবে রেট বেশি বাড়ার সম্ভবনা নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ছিল রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা। কিভাবে রফতানি বাণিজ্য আমরা করব তার নীতিনির্ধারণ করা। আমরা ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এর খসড়া নীতিনির্ধারণ করেছি। এটা অনুমোদনও দিয়েছি। বিদ্যমান রফতানি বাণিজ্যের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা হলো ৬০ বিলিয়ন মর্কিন ডলার। এটিকে বৃদ্ধি করে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। এর জন্য আনুষঙ্গিক যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলোর জন্য যা যা করা দরকার তা করব।
রফতানি নীতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত নীতিতে আগে অধ্যায় ছিল ৮টি। এখন তা ৯টি করা হয়েছে। অগ্রাধিকার খাতে সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য এবং সেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ কিভাবে সম্ভব, সেটি এখানে রয়েছে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নত দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকৌশল প্রণয়নের বিস্তারিত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রফতানি পণ্য উৎপাদনে টেকসই উন্নয়ন নীতিনির্ধারণে কৌশল প্রয়োজন। আইসিটি সার্ভিসেস এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতসহ সেবা খাতে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমদানি নীতির আদেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতের ক্ষেত্রসমূহের সামঞ্জস্য বিধান রাখাটাও জরুরি। এছাড়া বিনিয়োগ সহজীকরণের নির্দেশনা ও পণ্য সেবা বহুমুখীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। মেড ইন বাংলাদেশ কনসেপ্টকে জোরদার করার প্রস্তাবও এসেছে।