মাদারীপুরে স্ত্রীর মর্যাদা চাওয়ায় রাজিয়া আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় স্বামী মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৭ জুন) বিকেলে সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
গ্রেফতার মিজানুর রহমান সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকার আব্দুল আলিম ফকিরের ছেলে।
মামলার এজাহার, হাসপাতাল, ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেমের সম্পর্কে কারনে শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন রাজিয়া ও মিজানুর রহমান ওরফে মিজান। বিয়ের পরে ওই নারী জানতে পারেন মিজানের ঘরে তার পূর্বেরঘরে আরেকজন স্ত্রী ও সন্তন রয়েছে। পরে রাজিয়া তার স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে মিজান টালবাহানা শুরু করে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে মিজানের প্রথম স্ত্রী লাইজু বেগম রাজিয়াকে সামনাসামনি ও মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
সোামবার রাতে মাদারীপুর শহর থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রাজিয়া তার মা পারুল বেগমকে সাথে নিয়ে ইজিবাইকে বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাবেক কালিকাপুর এলাকার বাওরের সামনে আসলে তাদের ইজিবাইক রোধ করে মিজান ও তার প্রথম স্ত্রী লাইজুসহ বেশ কয়েকজন। পরে লাইজু ও মিজান রাজিয়াকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে রাজিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। পরে রাজিয়া ও তার মা পারুল বেগমের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় রাজিয়াকে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে রাজিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তা এজাহার হিসেবে মামলা রেকর্ড করে। পরে অভিযান চালিয়ে বিকেলে মামলার প্রধান আসামী মিজানকে পশ্চিম রঘুরামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গৃহবধুকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বুধবার আদালতে তোলা হবে। এছাড়া বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।