বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মারিয়া ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক মো: হাবিবুল্লাহ হাবিব এর হাওরে মৃত্যু নিয়ে ও হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বেলা ১১ টায় কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্ত্বরে পরিকল্পিত এই খুনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে মারিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ। মানববন্ধনে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ হাবীব’কে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বক্তব্য রেখেছেন তার স্বজন ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। এ হত্যাকান্ডের সুষ্টু তদন্ত ও বিচার না পেলে আরও কঠিন কর্মসূচীর ঘোষণা দেয় উপস্থিত বক্তারা।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ জুন) হাবিবুল্লাহ হাবিবের বাবা হোসনে আরা বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ দ: বি: ধারায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলা নং- সিআর (১) ২০২২।
মামলায় মারিয়া ইউনিয়নের মৃত আ: জব্বারের ছেলে আজিজুল ইসলাম সুমন(৩০), হারুন অর রশীদের ছেলে সেলিম (৩১), খুদরত আলী’র ছেলে সোহেল রানা’র (২৩) নাম উল্লেখ করা হয়। নৌকাতে থাকা ১নং আসামী আজিজুল হক সুমনের পরিচিত (পঞ্চগড় জেলার বাসিন্দা) তিনজনকেও আসামী করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হাবিবুল্লাহ হাবিব মারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক ছিল। আসামীগণ তার প্রতি হিংসা ও শত্রুতা পোষণ করিত। যার জন্য ঘটনার দিন তার অনিচ্ছা স্বত্বেও বাড়ি হইতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলিয়া
মিঠামইন নিয়া যায় এবং নৌকা দিয়া ঘুরিয়া রাত্র করিয়া ফেলে। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাহাদের হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার শরীরে বগলের বাম হাতের বগল পর্যন্ত তরল দাহ্য পদার্থ ঢালিয়া শারীরিক নির্যাতন করিয়া ধাক্কা দিয়া নৌকা হইতে পানিতে ফেলে দেয়। শারীরিক নির্যাতন ও আঘাতের কারণে সে সাতার জানা স্বত্বেও পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে।
মামলার বিবরণে আরও জানা যায়, হাবিবের লাশ তোলার পর গলা, বুক, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম পরিলক্ষিত হয়েছে। পেটে কোন পানি ছিল না। এতে সাক্ষীগণ ধারণা করেছে তাহাকে হত্যা করার পর পানিতে ফেলা হয়েছে। ঐদিন রাতে ছেলের বিষয়ে জানতে তার সাথে থাকা বন্ধুদের বাড়িতে গিয়া খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া যায় নি এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিক ইমরানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেব সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম ঢালী লিমন, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ফয়েজ ওমান খান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: আশ্রাবসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্ল্যেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে হাবিবসহ সাত বন্ধু হাওরে ঘুরতে যায়। অলওয়েদার সড়কসহ হাওরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রলারে করে ফিরছিল তারা। ট্রলারে পাটাতনে চেয়ারে বসা ছিল হাবিব। ঘটনার ৩৪ ঘণ্টা পর (১৬ জুন) হাবিবুল্লাহ হাবিবের মরদেহ প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার সূতারপাড়া ও নিকলী উপজেলার ভরাটির সীমান্তবর্তী এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh