লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৮সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন না।
শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ১২মিটার।
পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছেন। এর আগ জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউপির কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে ছিলেন।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তিস্তায় আর বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল।
ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে।