বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা নদীর উপর নির্মিত সোয়া ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু পচিঁশ তারিখ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এই সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয় এটি এখন বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রতিটি বাঙালির, আপনার-আমার-আমাদের সবার, বললেন নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র আল মুজাহিদ হোসেন তুষার।
তিনি আরও বলেন, সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। পদ্মা সেতু যেমন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে তেমনি কমপক্ষে ১ দশমিক ৫ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। ফলে লাভবান হবে পুরো দেশের মানুষ। প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে এই সেতুর প্রভাব হবে অনেক। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে নান্দনিক একটি পদ্মা সেতু। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আপনার-আমার-আমাদের নিজেদের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এই সেতু।
মেয়র তুষার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছে বলে আজ এই পদ্মা সেতু হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে পদ্মা সেতু হতো না। আপনারা দেখেছেন দক্ষিণ এশিয়ার কোনো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যে নিজেদের উদ্যোগে এ রকম দৃষ্টিনন্দন ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে, তা একসময় ভাবতেও পারত না বিশ্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় এবং বাঙালি জাতির অদম্য প্রচেষ্টায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে স্যালুট দিচ্ছে সবাই। ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মা সেতু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।