সবাই মনে করছেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে দেশের অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে দক্ষিণাঞ্চলের এই জনপদটি।
শনিবার (২৫ জুন) দেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা বাসীদের মধ্যে ব্যপক উল্লাস বিরাজ করছে। এ এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন বর্তমান সরকারের সফলতায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন মানে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন।
তারই ধারাবাহিকতায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে কুয়াকাটা পৌরসভার পক্ষ থেকে শহর জুরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং পৌরসভা ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিশাল বিশাল তোরণ তৈরী করা হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রতিটি হোটেল-রিসোর্টগুলোতে সাজসজ্জা সম্পন্ন হয়েছে এবং পদ্মাসেতু উদ্বোধন ঘিরে ২ সপ্তাহের জন্য প্রতিটি হোটেলের রুম প্রতি বুকিংয়ের জন্য ৫০% ডিসকাউন্ট করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মো:আবুল খায়ের বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সমূদ্র সৈকত কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটবে তাই মহিপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ (তিন) স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কুয়াকাটা পৌরসভার পক্ষ থেকে দের কিলোমিটার জুরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনারকে কুয়াকাটা বাসিদের পক্ষ থেকে ৪ টি তোরণ করা হয়েছে। কুয়াকাটা অত্যাধুনিক মানের মডেল পৌরসভা গঠনে পদ্মাসেতু চালু হওয়া যেন আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন কুয়াকাটা পর্যটন নগরী ও একটি পৌরসভার সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করে যাচ্ছি এবং পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার পরে থেকে অতি প্রয়োজনীয় একটি স্থায়ী বাস টার্মিনালের স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে বালু ভরাট ও ওয়াল বাউন্ডারি উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পরে বাড়তি যেসকল যানবাহনের চাপ বাড়বে সেইসব ভোগান্তি এড়াতে নেয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। পর্যটকদের সাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ পিপাসা মেটাতে অতি দ্রুত স্থায়ী বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।