পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেলগুলোতে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, গেল কয়েক বছর ধরে আমরা হোটেল ব্যবসায় সেবার মান বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বহু বিনিয়োগকারী পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। আগামী ১৫ দিন আমাদের কুয়াকাটায় সব হোটেলগুলোতে ৫০% ও খাবার হোটেলগুলোতে ৩০% ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। পদ্মা সেতু কুয়াকাটায় ব্যবসায়ীদের ভাগ্যের দরজা খুলে দেবে, সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্তের, এটাই প্রত্যাশা আমাদের।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর শোনার পর থেকেই কুয়াকাটায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ আধুনিকতার ছোঁয়া। সমুদ্র বিলাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নৌযান, যা দিয়ে সাগরের বুকে জেগে ওঠা চরবিজয়সহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে ঘুরতে পারছেন পর্যটকরা।
স্থানীয় হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরাও আশায় বুক বেঁধে আছেন পদ্মা সেতু ঘিরে। তারা বলছেন, দূরত্ব কম হওয়ার পরও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ফেরি থাকায় বিলাসবহুল বাসের সংখ্যা খুবই কম ঢাকা-কুয়াকাটা রুটে। তবে প্রাকৃতিকভাবে নিরাপদ হওয়ায় এ সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে কখনো পর্যটকরা বিমুখ ছিলেন না। আর পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে সড়ক পথের যে উন্নয়ন ঘটবে তাতে ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসতে কোনও ফেরির প্রয়োজন হবে না। এতে কক্সবাজারের থেকে প্রায় একশ’ কিলোমিটার কম দূরত্বে অবস্থিত কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।
ঢাকা থেকে সৈকতে ঘুরতে আসা আবুল কাশেম বলেন, পটুয়াখালী জেলা সদরে কিংবা বরিশালে ঢাকা থেকে সহজে নৌ-পথে আসা যায়। তবে উভয় জায়গা থেকেই কুয়াকাটায় যেতে হলে সড়ক পথে যেতে হয়। তবে এতে কুয়াকাটায় আসতে সময় লাগছে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার মতো। আর পরিবহন পরিবর্তনের এ ঝামেলার কারণে সড়কপথ থেকে নৌপথে কুয়াকাটার যাত্রীর সংখ্যা আগে থেকেই কিছুটা বেশি।
সমুদ্র বিলাসে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নৌযান, যা দিয়ে সাগরের বুকে জেগে ওঠা চরবিজয়সহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে ঘুরতে পারছেন পর্যটকরা।