শেরপুরের শ্রীবরদীতে বোরকা পড়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও জ্যাঠা শ্বশুরকে হত্যার ঘটনায় স্বামী মিজানুর রহমান ওরফে মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৪ জুন শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার
কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের পুটল গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি গাছ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মিন্টু পার্শ্ববর্তী গেরামারা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। আটককৃত মিন্টু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
ওই ঘটনায় মিন্টু মিয়াকে প্রধান আসামি করে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত মনিরার ছোটবোন মিনারা বেগম। এদিকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মিন্টু মিয়া।
এর আগে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিন্টু বোরকা পড়ে দা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ওইসময় কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মনিরা বেগম, শ্বাশুড়ি শেফালী খাতুন ও জ্যাঠাশ্বশুর
নূর মোহাম্মদ মাহমুদ হাজীকে। আর আহত করে শ্বশুর মনু মিয়া, জ্যাঠা শ্বাশুরি বাচ্চুনি বেগম ও শ্যালক শাহাদতকে।আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মনু মিয়ার অবস্থা
আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মূল অভিযুক্ত মিন্টুকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালদে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।