ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নানাবাড়িতে এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে দু’জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ ব্যাপারে জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় আমরা মূল আসামি দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। রোববার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (০১ জানুয়ারী) বিকেলে মুক্তাগাছা থানায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে শনিবার (০১ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের চন্দনীআটা এলাকায় থেকে তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হাফিজুল (২৫) উপজেলার চন্দনীআটা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার বৈলাজান গ্রামের আবু হানিফার ছেলে দুলাল (৫০)।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী মুক্তাগাছা উপজেলার চন্দনীআটা গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস করে আসছিল। আত্মীয়তার সুবাদে একই গ্রামের হাফিজুল ও ফুলবাড়িয়া উপজেলার বৈলাজান গ্রামের দুলাল প্রায়ই ভুক্তভোগীর নানাবাড়ি যাতায়াত করত। সেই সুযোগে দু’জন মিলে প্রায়ই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিল। এরই একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এতে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও এলাকায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে লোকজন অভিযুক্ত ওই দু’জনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনা¯’ল থেকে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।