ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু বাজার মন্দা, ব্যস্ত সময় পাড় করছে কামাড়রা। বাজারে আসা বিক্রেতারা জানান, গরু মোটাতাজা করতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সে তুলনায় গরুর দাম কম। ফলে বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মহাজনদের।
দক্ষিণ আইচা গরু হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু সহ বিক্রোতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদকে সামনে রেখে দাম ভালো পাওয়ার আশায় খামারিরা বড় গরু হাটে নিয়ে আসলেও চাহিদা বেশি ছোট গরুর। গরু বিক্রতা মো. আবুল বলেন, বাজারে গরু এনে ছিলাম দাম কম বলায় বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি গরু। দক্ষিণ আইচা বাজারের গরু হাট ইজারাদার মো.আশ্রাফউদ্দিন সবুজ মুন্সি বলেন, প্রতিটি বকনা আকার ভেদে ৩৫-৫০ হাজার এবং ষাঁড় ৫০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাহিরাগত ব্যাপারী না আসায় গরুর দাম কম,বাজার মন্দা।
তিনি আরও বলেন, সামনের হাটে একটু বাড়তে পারে গরুর দাম, গো-খাদ্যের দাম বেশি সে তুলনায় গরু বিক্রোতারা দাম পাচ্ছে না। বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন দক্ষিণ আইচার কামাড়রা। চলছে দা, বটি,ছুরি,চাপাতি তৈরীর হিড়িক। কোরবানীর পশু জবাই, মাংশ কাটা, চামড়া ছাড়ানে ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে মুলত এসব যন্ত্রপাতির। দিন রাত শুধু টুং – টাং শব্দে মুখর। ধারালো এসব পন্য তৈরীতে ব্যস্ত এখন কামাড় শিল্পীরা।করোনা ভাইরাসের কোনো সতের্কতা নেই তাদের মধ্যে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আবুল বশার বলেন, এ বছর উপজেলায় ১শ ৮৬ টি খামারে প্রায় ১ লাখ ১৮শ ২৩ টি গরু প্রতিপালন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ লাখের মতো। কিন্তু তুলনা মূলক চাহিদার চেয়েও বেশি উপজেলায় গরু মজুদ আছে। ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরু নিয়ে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন।