গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সরকারি কলেজ রোডে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে তিন তরুণের ছবি আর ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।কয়েক দিন পর শহরের কোল গয়লা মহল্লার সুমন খলিফা এবং একই এলাকার জনি হাজাম নামে দুই যুবককে অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেপ্তার করা হলেও বায়েজিদ এতোদিন অধরাই ছিলো।ওই সময় থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে মোট নয়টি মামলা হয় থানা ও আদালতে।   

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ ডিবির এসআই খোকন বলেন, বায়েজিদ চরম মাদকাসক্ত ছেলে। মাদকে আসক্ত হয়ে সে অস্ত্র হাতে শহরের জেলখানা ঘাট ও হার্ডপয়েন্টসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হামলা ও মারধরের পাঁচটি মামলা রয়েছে।“চার দিন আগেও সে সুইস গেইট এলাকার পলাশ নামে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহত পলাশ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাতেই বায়েজিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে সেই মামলায় আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।