ভোলায় প্রবীর দাস নামের এক ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যু সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোসলে উদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে। গত ২৩ মে প্রবীর দাস ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগোনা জেলার বাসন্তী থানার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে মৃত্যু বরন করেন। কিন্তু ওই তারিখে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে মৃত্যু বরন করেছেন এমন দাবী করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভারতীয় নাগরিক প্রবীর দাসের নামে মৃত্যু সনদ ইস্যু করেন।
তথ্যপ্রমাণে জানাযায়, প্রবীর দাসের দাদা রাজ নারায়ন ১৯৫৬ সনে একমাত্র পুত্র কালিমোহন দাসকে নিয়ে ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগোনা জেলার বাসন্তী থানার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন এবং সেখানে স্থায়ী হন।সেখানে কালিমোহন দাস স্ত্রী লিলাবতী দাসকে বিয়ে করেন। কালিমোহন দাস ও নীলাবতী দাসের তিনপুত্র- প্রবীর দাস, সুবির দাস এবং উত্তম দাসের জম্ম ভারতের ওই হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে। বাসন্তী থানার জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবীর দাস ৩৩৩ নং, সুবিরদাস ৩৩৫ নং এবং উত্তম দাস ৩৩৬ নং ভোটার। প্রবীর দাসের স্ত্রী রিতা রাণী দাস ৩৩৪, উত্তম দাসের স্ত্রী সুবর্ণাদাস ৩৩৭ এবং সুবির দাসের স্ত্রী পিংকিং দাস ৩৩৮ এবং তাদের মা নীলাবতী দাস ৩৩২ নম্বর ভোটার। তিন ভাইয়ের স্ত্রীদের পৈত্রিক বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বিভিন্ন গ্রামে।তাদের বাবা কালিমোহন দাস ওখানে রেশনভোগকারী বলে তথ্য প্রমাণ আছে। পাশপাশি প্রবীর দাস ভারতীয় নাগরিক হয়েও ভোলার লালমোহন উপজেলার মৃত সেকান্তর মেম্বারের বাড়িকে নিজের ঠিকানা দেখিয়ে ২০১৩ সনে প্রথম বাংলাদেশে ভোটার হন। এবং গত ২৩ মে প্রবীর দাস ভারতে মৃত্যু বরন করেন। রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি বছরের ২৩ মে একটি মৃত্যু সনদ ইস্যূ করেন।
জানাযায়,চরফ্যাসন পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জিন্নাগড় মৌজা এবং লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পেয়ারী মোহন মৌজার চারুবালা ভৌমিক ১৯৮৬ সনে লালমোহনের পেয়ারী মোহন মৌজার এস এ ২৪ ও এস এ ২৭ খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের ১০ একর ৫০ শতাংশ জমি চরফ্যাসন সাবজেটিষ্ট্রি অফিসের ২৮৯৫ এবং ২৮১৬ নং দলিলমূলে অনিমা রানী দাসের কাছে বিক্রি করেন। অনিমা রানী দাসের ক্রয়কৃত ১০ একর ৫০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নিতে ভারতীয় নাগরিক প্রবীর দাসের নামে মৃত্যু সনদ দিয়ে তার প্রতিপক্ষকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান,প্রবীর চন্দ্র দাস রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভোটার হাওয়ায় তাকে মৃত্যু সনদ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি কোথায় মারা গেছেন সেটা তিনি জানেন না তিনি।