× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হবিগঞ্জে দীর্ঘ ২৬ বছর পর চাঞ্চল্যকর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হত্যার রায় ঘোষণা, সকলেই খালাস

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

০১ আগস্ট ২০২২, ০৬:৪৬ এএম । আপডেটঃ ০১ আগস্ট ২০২২, ০৬:৫০ এএম

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার জলমহাল নিয়ে বিরোধে সুজাতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় দীর্ঘ ২৬ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদসহ ১৭ আসামী এই মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন। অপর ১৪ আসামী বিচার চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত ও ঘটনাক্রমে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারী সকালে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের দক্ষিণ দিকে খোয়াই নদীতে ভাসমান অবস্থায় শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর তিনদিন পূর্বে ১ জানুয়ারী রাত ১১টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই ঘটনায় লাশ উদ্ধারের দিনই চেয়ারম্যান আব্দুল্লার স্ত্রী সাহিনা চৌধুরী অজ্ঞাত আসামী দিয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

বানিয়াচং থানার তখনকার এসআই বাবুল চন্দ্র বণিক ও পরবর্তীতে সহকারী পুলিশ সুপার ছিদ্দিকুর রহমান মামলাটি তদন্তকরে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদ, আব্দাল মিয়া চৌধুরী ও হাজী আলকাছ মিয়াসহ ৩১ জন আসামীর নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তকালে অনেক সন্দেহভাজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মাঝে আবেদ আলী ও আব্দুল হাই (মৃত) নামে দুইজন আসামী গ্রেফতারের পর তখনকার ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট তপন চন্দ্র বণিকের নিকট ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। আদালত ১২ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে। 

২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারী সর্বশেষ স্বাক্ষ্যগ্রহণ হয়। কিন্তু বাদীপক্ষ বিভিন্ন সময় মামলাটি হাইকোর্টে আবেদন করে বিচারকাজ স্থগিত রাখলে দীর্ঘদিন পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণাকালে বাদী সাহিনা চৌধুরী উপস্থিত  না থাকলেও  আসামীরা উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সালেহ আহমদ ও এডভোকেট আবু বক্কর ছিদ্দিকী বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। দুইজন আসামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও ১২জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণের পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামীরা খালাস পাওয়ায় তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান ও এডভোকেট সুফি মিয়া এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই আদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার এজাহারে কোন আসামী না থাকলেও হয়রানীমূলকভাবে এই আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় এবং তারা দীর্ঘদিন আদালতে আসা যাওয়া করতে হয়েছে। মামলার রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন শতমুখা গ্রামের ৮৫ বছর বৃদ্ধ হাজী আলকাছ মিয়া। তার একটি পা না থাকায় হুইল চেয়ারে বসে আদালতের নিচেই অবস্থান করেন। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.