অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াসমিন বাহার। দুদিন আগে মেয়ের শ্বশুর বাড়ি দুমকিতে বেড়াতে আসলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান চিকিৎসা নিতে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে আলট্রাসোনোগ্রম করতে বললে তাৎক্ষণিক তিনি(ইয়াসমিন বাহার) উপজেলার মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে যান। পরবর্তীতে রিসিপশনে গেলে ডাক্তার নেই বলে তাকে কিছুক্ষণ বসতে বলা হয়।আধাঘন্টা পরে রিসিপশনে কাউকে দেখতে না পেয়ে ডাক্তারের রুমের সামনে দাড়িয়ে দুইবার ভাই বলে ডাক দিয়ে ডাক্তার আসছে কি-না জিজ্ঞেস করায় ডাক্তার প্রচন্ড রেগে বলেন, আপনার সাহস কিভাবে হলো একজন ডাক্তারকে 'স্যার' না বলে ভাই বলে সম্বোধন মরার। এছাড়াও তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এবং ঘাড় ধরে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন।

অভিযুক্ত ডাক্তারের নাম মোঃ নাসির উদ্দীন। তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। অবসর সময়ে তিনি বাইরে চেম্বার করেন। পরবর্তীতে ইয়াসমিন বাহার ক্লিনিক থেকে কান্না করতে করতে বেড়িয়ে আসেন এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, সম্পূর্ণ অভিযোগ মিথ্যা উল্টো সে আমাকে অনেক গালাগাল করেছে এবং আমি এখানের ডাক্তারও না আমি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার অবসর সময়ে মাঝেমধ্যে এখানে চেম্বার করি। তাছাড়া ওনি আমার রোগীও না তাকে শুধু আমি বলেছি আমাকে কিছু না বলে আপনি রিসিপশনে গিয়ে কথা বলুন। 

দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম বলেন,  ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং থানায় একটি অভিযোগ করেছে তারা আমরা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।