হাইওয়ে পুলিশবাহী একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক উল্টে চালক ও চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অন্যান্য শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। সোমবার (১ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা ও নরসিংদী জেলার সীমান্তবর্তী শিমুলতলা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, ইজিবাইকে চড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে পুরিন্দা কেএম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম ও দশম শ্রেণির ৪ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার সীমান্তবর্তী শিমুলতলা এলাকায় একটি মাইক্রোবাস পেছন ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এতে চালক ও ৪ শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা মাইক্রোবাসটিতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আহত শিক্ষার্থীদের বরাতে পুরিন্দা কেএম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের এক কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসটির ধাক্কায় ইজিবাইকটি উল্টো গিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে আটকে যায়। গাছে না আটকালে খাদে পড়ে যেত ইজিবাইকটি। তাতে প্রাণহানিরও সম্ভবনা ছিল।
এই ঘটনায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম ও ইউসুফের বুকে ও হাতে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তারা দু’জন নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহত ফাহিমা ও রাজিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। ইজিবাইক চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
আড়াইহাজার থানা পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসে নরসিংদীর ইটাখোলা হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। ধাক্কা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ছিটকে পড়ে আহত হয়। এই ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ইজিবাইক কেন মহাসড়কে চলাচল করছে সেজন্য চালককে মারধর করে। পরে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, নরসিংদীর ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ মাইক্রোবাসটি ভাড়া করেছিল। বিক্ষুব্ধ লোকজনের দেয়া আগুনে সেটি পুড়ে গেছে। আহতদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।