পাবনা জেলা কর্মচারী বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভূয়া রশিদ ও পাশ বই তৈরি করে অবৈধ পকেট সমিতি পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল কার্যালয়, পাবনার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার সৈয়দ আল মামুন ফেরদৌসের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল কার্যালয়, পাবনার জোনাল ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পাবনা জেলা কর্মচারী বহুমুখি সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম।
অভিযোগে তার দাবি, ‘সমবায় সমিতি আইন, বিধিমালা, উপআইন এবং রেজুলেশন অনুযায়ী সুনামের সাথে পাবনা জেলা কর্মচারী বহুমুখি সমবায় সমিতির কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু সৈয়দ আল মামুন ফেরদৌস সমিতির নামের অপব্যবহার করে তার স্ত্রী ফজলে ইলা শাম্মী, শ্বাশুরি নাজমা হাসিম, শ্বশুর আহমেদ হাশিম মজহার এবং আরও কতিপয় অসৎ ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তার মালিকানাধীন হোটেল প্রিন্স-এ অফিস খুলে সমিতির নামে ভূয়া রশিদ বই, পাশ বই তৈরি করে অবৈধ পকেট সমিতি পরিচালনা করছেন।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘অভিযুক্ত সৈয়দ আল মামুন ফেরদৌসের পরিচালিত পকেট সমবায় সমিতির অর্থ নিবন্ধনকৃত সমবায় সমিতিতে হিসাবায়ন করা হয় না। তিনি প্রায়ই নিজের কর্মস্থলে না থেকে অফিস চলাকালীন সময়ে হোটেল প্রিন্স সাইনবোর্ডহীন অবৈধ সমবায় অফিসসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে সমিতির কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকেন।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ আল মামুন ফেরদৌস জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তিনি এইসব অভিযোগ করেছেন। সমিতি থেকে আমার শ্বাশুড়ি তার টাকা ফেরত চাওয়ায় সেই টাকা না দেয়ার অযুহাতে এইসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন তিনি।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের জোনাল কার্যালয়, পাবনার ব্যবস্থাপক ফারহানা জাহান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অভিযোগটি পেয়েছি। কিন্তু তথ্য-প্রমাণ এখনও পাইনি। সাপ্তাহিক ছুটি ও আমি দুইদিন কর্মব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে বসতে পারি। অভিযোগকারীর কাজ থেকে তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হবে। তথ্য-প্রমাণ পেলে সেই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’