সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের ভুটিয়ামারী ব্রিজ সংলগ্ন পশ্চিম সায়েড়া মৌজায় কয়েকটি সবজি ক্ষেতের মধ্যে বাগেরহাটের সামাজিক বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা ঐ জমির মালিক সিলেখানা নিবাসী বাসুদেব পাল, অমূল্য পাল, বিকাশ পাল, মধু মাস্টার, কৃষ্ণপদ পাল, উত্তম কুমার পাল, সুবোধ পাল, মিলন পাল, পশ্চিম সায়েড়া নিবাসী আব্দুল কাদের মোল্লা, কবির হোসেন মোল্লাসহ আরও অনেকে। কথা বলে জানা গেছে এই জমি কারো পৈতৃক সূত্রে পাওয়া, কারো খরিদা সম্পত্তি অথবা কারো ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে দীর্ঘ মেয়াদি বন্দোবস্ত নেওয়া। গতকাল ১লা আগষ্ট সকালে ৬/৭ জন লোকের একটি দল তড়িঘড়ি করে গড়াবেড়া ভাংচুর করে সবজি ক্ষেতের মধ্যেই গাছের চারা রোপণ করতে থাকে। সরকারিভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে তাই তাদেরকে বাধা প্রদান করেননি চাষিরা কিংবা জমির মালিকগণ। আপাতত এই জমিতে পেয়ারা, আকাশী এবং কদবেল এর চারা রোপন করা হচ্ছে। যার উচ্চতা দুই থেকে আড়াই ফুট।
উপস্থিত লেবার সর্দার কচুয়া সাইনবোর্ড এলাকার মোহাম্মদ রিপন শেখ বলেন, সামাজিক বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা এই জমি সরকারি জমি হিসেবে আমাদের দেখিয়ে দিয়ে বলেছে গাছ লাগানোর জন্য। আমাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ১০ হাজারের অধিক চারা এখানে লাগানো হবে। সবজি ক্ষেতের কোন ক্ষতি না করে আমরা সাবধানে গাছ লাগানোর চেষ্টা করছি।
জমির মালিক বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের এজিপি বাসুদেব পাল বলেন, বলা নেই কওয়া নেই হুট করে দেখি আমার দখলীয় সম্পত্তিতে কয়েকজন লোকে গাছ লাগাচ্ছে। জানতে পারলাম সামাজিক বণবিভাগ এই গাছ লাগাচ্ছে। তারা আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। একজনের জমিতে এভাবে কি হুট করে গাছ লাগানো যায়? এখানে যত জমিতে গাছ লাগানো হয়েছে সব জমিই ব্যক্তি মালিকানাধীন। সবাই বিভিন্ন সূত্রে ভোগ দখল করছে। এভাবে সবজি ক্ষেত নষ্ট করে, জমির মালিকের অনুমতি ছাড়া সামাজিক বন বিভাগ কিভাবে গাছ লাগাচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না। আমার পাশের জমির মালিকগণও আমার কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক বন বিভাগ বাগেরহাটের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা চিন্ময় মধুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই জমির মালিকদের নিয়ে বসা হয়েছিল। তাছাড়া বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন জমি পতিত থাকবেনা, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। যার জমির উপর গাছ লাগানো হয়েছে, গাছ বড় হলে ওই জমির মালিকই ভোগ দখল করবেন, ফল খাবেন এবং ওই গাছের মালিকও হবেন তিনি।