নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের আবেদ আলীর বসতঘর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (৩ আগস্ট) লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। নিহত ওই গৃহবধূ নুরেছা বেগম (২০), বাউসা ইউনিয়নের দেবপাড়া বাঁশডর গ্রামের আব্দুল সত্তারের মেয়ে।
নুরেছা বেগমের পিতা আব্দুল সত্তার ও এলাকাবাসী বলেন, গত ১০ মাস আগে কায়স্থ গ্রামের এলাক আলীর পুত্র আবেদ আলীর সঙ্গে পারিবারিক অনুষ্টানের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হয় নুরেছা বেগমকে। বিয়ের কয়েক মাস যেতেই গত কোরবানির ঈদে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাড়িতে চলে আসে নুরেছা। বাড়িতে আসার কারণ জানতে চাইলে নুরেছা তার পিতা আব্দুল
সত্তার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বলেন, তার স্বামী আবেদ আলীর ভাবির সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সে তার আপন ভাবীর সাথে পরকীয়ায় জড়িত। এজন্য আর স্বামীর বাড়িতে যেতে অনিহা প্রকাশ করে। আব্দুল সত্তার বিষয়টি আবেদ আলীর বাড়ির লোকজনসহ কয়েকজন মুরুব্বিদের জানান। এ বিষয়ে একটি শালিস বসার প্রক্রিয়াধীন ছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে নুরেছার স্বামীর বাড়ি থেকে ফোনে জানানো
হয়। নুরেছা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে রাতেই নুরেছার স্বামীর বাড়িতে আব্দুল সত্তার ও তার পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখতে পান একটি বিছানার খাটের উপর নুরেছার লাশ পড়ে আছে। গলায় একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।
নুরেছার পিতা আব্দুল সত্তার অভিযোগ করে বলেন, আবেদ আলীর পরকীয়ার অবৈধ মেলামেশা দেখে ফেলায় আমার মেয়েকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে সাথেই আবেদ আলীর ভাবী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে । তবে আবেদ আলীর পরিবারের লোকজন বলেন, নুরেছা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শামসুউদ্দিন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আমরা তদন্ত করছি। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নূরেছার পরিবার।