স্থানীয়রা জানায়, রমাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে মোরশেদ আলমের সঙ্গে ইউনুস মাস্টারের ছেলেদের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনুস মাস্টারের ছেলে সাইফুর রহমান দুলাল, সাইদুর রহমান মিলন ও লিটন তাদের লোকজন নিয়ে বিরোধকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যায়। এসময় সাত্তার মাস্টারের ওয়ারিশরা বাধা দেন। পরে ইউনুস মাস্টারের ছেলেরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাত্তার মাস্টারের ওয়ারিশদের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে সাত্তার মাস্টারের মেয়ের জামাতা হোসেন আহমেদসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে হোসেন আহমেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।  

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম মো. আফজাল বলেন, হোসেনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আরও চারজনকে আনা হয়। এদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।  

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান (অতিরিক্ত ডিআইজি), সদর মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামালসহ পুলিশের উদ্বতন কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলেন।