জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণপরিবহন মালিক শ্রমিকদের ডাকা অবরোধে সড়কে গাড়ী না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ কর্মমূখী মানুষ। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে তেলচালিত পরিবহন চলছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। গ্যাসচালিত গাড়িগুলো চললেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অনেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গাদাগাদি করে উঠে অফিস-কারখানার দিকে ছুটছেন।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। রাত ১২টার পর থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে। হুট করে তেলের দাম বাড়ানোয় আজ সকাল থেকে গাড়ি বের না করার ঘোষণা দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রামের সড়কে তেলচালিত গণপরিবহন নেই।
নগরীর আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর ২নম্বর গেটসহ সবগুলো স্টেশনে যানবাহনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। গ্যাসচালিত গণপরিবহন সড়কে চলাচল করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও কোথাও এসব গাড়ী চলাচলেও শ্রমিকরা বাধার সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘হুট করে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়েছি। এজন্য প্রাথমিকভাবে আজ সকাল থেকে নগরীতে গাড়ি না চালানোর সিন্ধান্ত নিয়েছি। পরিবহন নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিন্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’
নগরজুড়ে পুলিশ আর শ্রমিকদের বাকবিতন্ডা করতে দেখা গেলেও কোথাও অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। পুলিশ অবরোধকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি তুলে ধরতে বলেছে। তাছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ী এবং সিএনজি চালিত গাড়ীগুলোকে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করার জন্য বলেছে।
নগরীর আগ্রাবাদ মোড়ে দায়িত্বপালনরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, গাড়ী চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। কেউ গাড়ী না চালালে সেটা তার বিষয় কিন্তু কেউ গাড়ী নিয়ে বের হলে, চালাতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া বেআইনী।