ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। এদিকে নীলফামারীর ডিমলায় তেলের দাম বাড়ানোর খবর প্রকাশের আগেই পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা সদরের আলম ফিলিং সেন্টার সব সময় খোলা থাকলেও শুক্রবার রাতে পাম্পের লাইট অফ করে দেয় মালিক পক্ষ। জানানো হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইন খারাপ হয়েছে। এ সময় পাম্পের সামনে শত শত যানবাহনের সারি দেখা যায়।তেল নিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন যানবাহনের চালকেরা। তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার আগেই তেল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। তাতেও কর্ণপাত না করলে পাম্প অবরোধ করেন তারা। এ সময় পাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মোটরসাইকেল চালক, এম্বুলেন্স ও পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এসে কথা বললে পাম্প খুলে দেওয়া হয়। তবে পূর্বের মূল্যে তেলের পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকলেও অল্প সংখ্যক চালককে গাড়ি প্রতি সর্বোচ্চ ১০০ টাকার তেল দিয়ে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বিক্রি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে চালকেরা জানান, তেলের দাম যখন বাড়বে সে দামেই কিনতে হবে।তবে দাম বাড়ার কথা রাত ১২টার পর কিন্তু কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং বেশি দামে তেল বিক্রি করতে সন্ধ্যার পরেই পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে তারা। আলম ফিলিং সেন্টারে তেল নিতে আসা মিন্টু,আলিনুর সহ কয়েকজন চালক বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে এই পাম্প তেল বিক্রি বন্ধ করে রেখেছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তেল পাম্পের সব লাইট অফ করে দেয় মালিক পক্ষ। কাউকে তেল দিচ্ছে না।
ওই তেল পাম্পের কর্মচারী হাচিনুর ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক সংযোগ লাইন এ ত্রুটি হওয়ায় সন্ধ্যা থেকে তেল বিক্রি বন্ধ আছে। একই অবস্থা দেখা গেছে উপজেলার ডালিয়া ও চাপনি এলাকার পাম্পগুলোতে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর এসব এলাকার সব পাম্প বন্ধ রেখেছেন পাম্প মালিকেরা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন,তেল বিক্রি বন্ধের খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন তেল পাম্প গিয়েছি। বন্ধ তেল পাম্পগুলো চালু রাখার ব্যবস্থা নিয়েছি।