ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় রাতে কৃষকের ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন ও তার ছোট ভাই মিজানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, স্কুল শিক্ষক ফরিদ ও মিজান দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল সাত্তার মৌলভীর দুই ছেলে ।
অভিযোগে মো. জসিম প্যাদা (২৮) জানান, দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব হাওলাদার এর কাছে আমার পিতা আব্দুর রব প্যাদা ০৫/০৬/১৯৮২ সনে ৯১.২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে। যার ডিয়ার দাগ নং ১৪১১, ১৩৯৩, নাল জমির পরিমাণ ৭৬ শতাংশ, ডিয়ার দাগ নং ১২০৬,১২০৭,১২০৮ জমির পরিমাণ ১৫.২৫ শতাংশ। জমি দাতা বুঝাইয়া দিলে বাড়ি ঘরের প্রয়োজনে ১২০৬ দাগে ঘর উত্তোলন করি। বর্তমান ডিজিটাল (বি ডি এস) জরিপ ডিপি খতিয়ান নং ১৩৭৫, হাল দাগ ৫২৩৫ জমির পরিমাণ ১৪.৮১ শতাংশ। যা বর্তমানে ওই জমি আমরা ভোগদখল ও বসবাস করে আসছি।
জসিম প্যাদা আরও জানান, এর আগে গত কয়েক মাস পূর্বে সাত্তার মৌলভীর ছেলে জাহানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন আমাদের ভোগদখলীও জমিতে এসে সবুজ নামে এক যুবকের উপস্থিতিতে আইনী জটিলতা এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবী করে। আমি ৫ লাখ টাকা দিতে অপরগত শিকার জানালে গত বুধবার (১৭ আগষ্ট) রাতে আমার পিতা আব্দুর রব প্যাদা আমার বড় ভাই রহিম প্যাদার বাড়িতে অসুস্থ হলে আমরা পিতাকে দেখতে গেলে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমাদের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র এবং ঘরে নগত গচ্ছিত থাকা ২০ হাজার টাকা সহ নির্মাণকৃত আমাদের ঘরটি ভেঙে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে চরমানিকা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ঘরের চাল,ও বেড়া,এবং ঘরটি ফেলে দেন সাত্তার মৌলভীর দুই ছেলে সহ দূর্বৃত্তরা। এতে আমাদের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সহ সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষক পরিবার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ৫ লাখ টাকা তো দূরের কথা এ ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানি না, কে-বা কাহারা ওই ঘরটি ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা রটাচ্ছে।
দক্ষিণ আইচা থানার(ওসি) মো.শাখাওয়াত হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।