গাইবান্ধায় ভুয়া ভূমিহীন সেজে প্রায় ছয় বিঘা সরকারি (খাস) জমি নিজ দখলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া গ্রামের মৃত ফইম উদ্দিনের তিন ছেলে ফয়জার রহমান, আবুল ফজল ও লাল মিয়ার বিরুদ্ধে ওই খাস জমি নিজেদের দখলে নিতে আদালতে মামলাও করেছেন তারা।
কিন্তু দায়ের করা ওই মামলা বাতিলসহ সরকারি খাস জমি উদ্ধারের জন্য চলতি বছরের ১০ আগষ্ট গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর ওই এলাকার ভুমিহীনদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ করেন একই গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাফর আলী ।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কিশামত বালুয়া (বড় ঘাট) এলাকার বেশকিছু ভূমিহীন কৃষক দীর্ঘদিন যাবত তফসিল বর্নিত খাস জমি ভোগদখলে চাষাবাদ করে আসতেছিলেন।
কিন্তু ১৯৭৭ সালের ২৫ অক্টোবর ফয়জার রহমানসহ তারা তিন ভাই ভূমিহীন না হওয়া সত্বেও নিয়মবর্হিরভূত ভাবে ভুয়া ভূমিহীন সেঁজে ভুমি অফিসের যোগসাজশে Xll-৪০৭ /৭৭-৭৮ নং বন্দোবস্ত কেস মুলে বিনা সেলামিতে তফসিল জমি বন্দোবস্ত গ্রহণ করে ১৭০৯৪ নম্বর কবুলিয়াত সম্পাদন করেন।
অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সিএস আমল থেকেই জোতদার শ্রেনির ব্যক্তি। তাদের নামে ওই এলাকার এবং আশেপাশে এলাকায় এসএ রেকর্ডভুক্ত অনেক জমি রয়েছে।
বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক নিয়মবর্হিভূত ভাবে তৈরি করা কবুলিয়াতসহ বন্দোবস্ত মামলাটি বাতিল হওয়া আবশ্যক । এছাড়া উল্লেখিত বিষয়াদি, বন্দোবস্ত মামলা, ও কবুলিয়াত বাতিল সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখ্য: উক্ত তফসিল জমি নিয়ে সরকারি ভাবে ইতোমধ্যেই গাইবান্ধা দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। যাহার নং ২৩২/২১।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়জার রহমান কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান এবিষয়ে বলেন, ভূমিহীনদের উচ্ছেদের যারা পায়তারা করবে তাদের কোন ছাড় নাই। অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।