× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মহেশখালীর পাহাড়ে অবৈধভাবে পান বরজ তৈরিতে বাধা দেওয়ায় রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মামলার হুমকি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

১৮ আগস্ট ২০২২, ০৭:৪৮ এএম

দেশের এক মাত্র পাহাড়ী দ্বীপ কক্সবাজারের উপজেলা মহেশখালীর সংরক্ষিত বনের ভেতরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার অবৈধ পানের বরজ। বনের গাছ ও পাহাড় কেটে এসব পানের বরজ স্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ফলে সবুজ বেষ্টনি পাহাড় দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে। বন বিভাগ বলছে পানের বরজ উচ্ছেদ করতে গিয়ে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী গত ১৬ আগষ্ট (মঙ্গলবার) মহেশখালী থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন যার নং ৭৫৯। 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের মহেশখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী চলতি বছরে গত ফেব্রুয়ারীতে যোগদানের পর হতে সরকারি সংরক্ষিত বনের জায়গা অবৈধভাবে জবর দখল করে পান বরজ তৈরিতে বাধা প্রদান করে আসছেন। গত ৯ আগষ্ট খাঁন জুলফিকার আলী  মহেশখালী রেঞ্জের দিনেশপুর ও শাপলাপুর বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি সংরক্ষিত বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা ৩ টি পান বরজ ভেঙে দিয়ে আনুমানিক এক একর সরকারি জায়গা জবরদখল মুক্ত করেন। 

এতে স্থানিয়  শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে তৈলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। গত ১৪ আগষ্ট মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে রেঞ্জ কর্মকর্তা  খাঁন জুলফিকার আলী সরকারি কাজে যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী ও উপস্থিত হন। তিনি রেঞ্জ কর্মকর্তার পরিচয় জানতে পেয়ে বলেন আপনি পানের বরজ ভেঙে ঠিক করছেন না, স্থানীয় জনগণ আপনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। রেঞ্জ কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে জনগণের পক্ষ না নিয়ে সরকারি বন ভূমি রক্ষায় বন বিভাগকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের লোকজন। 

এতে চেয়াম্যান আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনি যদি আবার কোন পান বরজ ভাঙ্গেন আমি আপনার নামে ধর্ষণ মামলা দেব। আপনার পেছনে মেয়ে মানুষকে লাগিয়ে দেব।  অস্ত্র শুধু আপনার একার নাই আমারও আছে। দেড় টাকার রেঞ্জার, হোয়ানকে একজন ফরেস্টার কে মেরে ফেলেছে তাতে কি হয়েছে, এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী কে চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী হুমকি দিয়েছেন মর্মে জানা যায়।  

এ ব্যাপারে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী জানান, রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিনি। তিনি আমার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন তার অভিযোগ সত্য হলে এটি তদন্তে প্রমান হবে।মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়াছিন জানিয়েছেন, আমি এ ব্যাপারে মূখ খুলতে পারবো না। 

মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খাঁন জুলফিকার আলী বলেন, বনের ভেতর রাস্তা কিংবা পানের বরজ করার কোনো নিয়ম নেই। পানের বরজ নির্মাণে বাঁধা দিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে (ইউএনও'র) সামনে অকাথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে  আমাকে ধমক দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন, এবং মহিলা সংক্রান্ত মামলা জড়িয়ে দিবেন। আপনাকে চীফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট পর্যন্ত নিয়ে যাব। এছাড়াও অস্ত্র শুধু আপনার একার নাই, আমারও আছে বলে হুকার দেন। এব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.