কামরুল হাসান ফিরোজ। সাবেক পুুলিশ সদস্য। দেশ সেবার মহান ব্রত নিয়ে বর্তমানে তাঁর দুই ছেলেও পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত। আপন ভাতিজাদের অত্যাচারে সম্মানের কথা বিবেচনা করে নিজের পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে বসতঘর নির্মাণ করেন অন্যত্র। তবুও ভাতিজাদের ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে বন্দি পুলিশের সাবেক এই সদস্য ও তাঁর পরিবার। পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে আক্তারুজ্জামান সুমন, আতাউর রহমান সোহেল, আলিমুজ্জামান স্বপন ও ফুয়াদ দলবদ্ধভাবে এসে ওই পরিবারের উপর হামলা চালায়। সম্পর্কে তারা পুলিশ সদস্যে ফিরোজের আপন ভাতিজা। তারা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যে ফিরোজ জানান, তাদের পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে এসে বাকতিন্ডা শুরু করে তার ভাতিজারা। এসময় বাধা দিতে গেলে ভাতিজারা তাদের হাতে থাকা রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে তার ভাতিজারা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ করে আসছে। এই সুযোগে স্থানীয় আরো কয়েকজন বখাটে তাদের সাথে একত্রিত হয়ে তাকে হয়রানি শুরু করে। পরে লোকলজ্জার ভয়ে তিনি পৈত্রিক ভিটে ছেড়ে স্বপরিবারে ওই গ্রামের পাশে জমি কিনে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। সেখানেও ওই বখাটেরা তার ভাতিজাদের সাথে নিয়ে নানা ফন্দিফিকির করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, সামাজিক ও পারিবারিক কথা বিবেচনা করে পুলিশ সদস্যে ফিরোজ কোন প্রতিত্তুর না দিলেও তার বিরুদ্ধে ভাতিজারা উল্টো মামলা করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বেশ কিছু স্থানে মিথ্যা প্রচারণা চালান। তবে তার ভাতিজাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান জানান, মারামারির খবর শুনে ঘটনাস্থলে আমি গ্রাম্য পুলিশ পাঠিয়েছি। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ফিরোজকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।