চরফ্যাশনের আবদুল্লাপুর ইউনিয়নে ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের ছাত্রছায়ায় দশম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ওই ইউপি সদস্যকে বাল্যবিবাহ আটকানোর জন্য পাঠানো হলেও তার উপস্থিতিতে পড়ানো হয় ছাত্রীর বাল্যবিবাহ। যদিও উপজেলা প্রশাসনের দাবী ইউপি সদস্যকে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াব আলী বয়াতী বাড়ীতে হাজিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মোঃএলাহীর পুত্র মালদ্বীপ প্রবাসী মোঃ বাচ্ছুর বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খানকে জানানো হয়। তৎক্ষনিক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমকে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম উপস্থিত থেকেই ওই ছাত্রীর বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেন। এবং শুক্রবার দুপুরে কনের বাড়িতে প্রীতিভোজে অংশ নেন ইউপি সদস্য আবুল কাশেমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান,ইউপি সদস্য আবুল কাশেমকে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বলা হলেও ওই নাবালিকা ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ না করে তার মাধ্যমে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। এই ঘটনায় ওই এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য আবুল কাশেম জানান, মেয়ের বয়স কম হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে বিয়ে না এ্যাংগেজ এর দাওয়াতে মেয়ের বাড়িতে এসেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম বলেন,বাল্যবিয়ে প্রমাণিত হওয়ার পরেও প্রশাসনের ঢিলেঢালা হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়নি ছাত্রীর বাল্যবিবাহ। প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে বাল্যবিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান বলেছেন রাতে ইউপি সদস্য কাশেম বিয়ে হবে না বলে দায়িত্ব নিয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে ।