× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি ভৈরব মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:১৯ এএম

কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা ঈদগাহ সংলগ্ন মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ প্রায় আড়াই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ আড়াই বছরেরও বেশী সময় পার হলেও ১০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ শেষ না হওয়ায় অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।

ঠিকাদারের ধীরগতি এবং ফান্ডের অভাবে মডেল মসজিদ নিমার্ণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়ে মুখতোবড়ে পড়ে আছে নির্মানাধীন মডেল মসজিদটি। মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে প্রথম তলার নিচের ভীমের কাজ শেষে থমকে থাকার কারণে রডগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আর এমন দৃশ্য দেখে উপজেলার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ আর হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্বাবধায়নে ও গণপূর্ত বিভাগের তদারকিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ফলে সারা দেশের মতো ভৈরব উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণে ২০১৯ সালের শেষ দিকে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। আর এই মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচ এম হেলাল এন্টারপ্রাইজ। যদিও পরে হেলাল এন্টারপ্রাইজ থেকে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট সাব ঠিকাদার হিসেবে নির্মাণ কাজের দায়িত্ব বুঝে নেন এবং ২০১৯ সালের শেষ সময়ে নিমার্ণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু নির্মাণে কাজে সাব ঠিকাদারের ধীরগতি আর অবহেলার কারণে আটকে যায়। একই সঙ্গে বরাদ্ধে টাকা না আসায় কাজ বন্ধ করে সাব ঠিকাদার। ফলে ১৮ মাস মেয়াদী নিমার্ণ কাজ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় শহর কেন্দ্রীক মডেল মসজিদ স্থাপন করা হলেও ভৈরবে মডেল মসজিদের জায়গা শহরের বাহিরে নির্ধারণ করা হলে কতটুকু সুবিধা হবে এ নিয়েও সাধারণ মানুষের মাঝে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘সারাদেশে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শেষে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছে কিন্তু ভৈরবের মডেল মসজিদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ফলে এলাকার মুসল্লিদের এবাদত বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. ওমর ফারুক জানান, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভা কেন্দ্রীক মডেল মসজিদটি নির্মাণে প্রথম থেকেই অবহেলার শিকার হয়েছে। ঠিকাদারের ধীরগতির কারণে বরাদ্ধের টাকা আসা কমে যায়। ফলে মডেল মসজিদ নিমার্ণে মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে প্রথম তলার নিচের ভীমের কাজ শেষে নিমার্ণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, ‘মডেল মসজিদের কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আমরা ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলে জানলাম ফান্ড সমস্যার কারণে তারা কাজ সম্পন্ন করতে পারছে না। শিগগিরই সব জটিলতা শেষ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবো।’

কিশোরগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো: বাহাদুর আলী বলেন, কাজ শুরুর প্রথম দিকে নির্মাণসাগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ও ফান্ড অর্থের অভাবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্যার্থ হওয়ায় আমরা এ কাজটি হাতে নিয়েছি। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট কাগজপত্র দাখিল করেছি। আসাকরি শিগ্রই মসজিদের কাজটি শুরু করতে পারব।





Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.