ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বর্ষা (২২) নামে এক তরুণী গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বর্ষা জেলা সদরের সুহিলপুর এলাকার নর্দাপাড়া এলাকার কামাল মিয়ার মেয়ে ও সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের মমিন মিয়ার স্ত্রী। গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের পৈরতলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেল লাইনে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেললাইনের পাশে বিষন্ন মনে ওই তরুণী বসেছিলেন। এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন আসতে দেখে ওই তরুণী রেল লাইনে ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলে দুই টুকরা হয়ে তিনি মারা যান। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, দুই মাস আগে মমিন ও বর্ষার বিয়ে হয়েছিল। শনিবার বিকেলে পৈরতলা এলাকায় রেললাইনের পাশে বসেছিলেন বর্ষা। বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নোমান আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। মরদেহের সাথে একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। রবিবার বেলা ১২টায় নিহতের মরদেহ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ।