× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঈশ্বরদীতে ব্যর্থ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান।

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:১৩ এএম

ঈশ্বরদীতে সরকারি খাদ্যগুদামে ধান ও চাল মৌসুমে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানে সফলতা এলেও ব্যর্থ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান। লক্ষ্যমাত্রার প্রায় শতভাগ (৯৪%) চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। তবে জেলায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ০.০২ শতাংশ।

জানা যায়, ঈশ্বরদী এলএসডি খাদ্য গোডাউনে এই মৌসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩০১ টন, অর্জিত হয়েছে ৮৩৩০ টন। এই গোডাউনে কোন ধান সংগ্রহ হয় নি। অন্যদিকে মুলাডুলি সিএসডি খাদ্য গোডাউনে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬৫১ টন, অর্জিত হয়েছে ৮৫১৬ টন। আর ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১০ টন। 

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় ধান সংগ্রহ কম হয়েছে। সরকারিভাবে ধান বিক্রির জন্য বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও হয়রানির কারণে সরকারিভাবে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। বেশিরভাগ কৃষক ধান মারাই শেষে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন। যার ফলে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হয়েছে  এই উপজেলায়। তবে মিলাররা চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গুদামে চাল সংগ্রহ করেছেন।

স্থানীয় একাধিক কৃষক বলেছেন, গ্রাম্য হাট-বাজারগুলোয় ধানের দাম বেশি পেয়ে সরকার নির্ধারিত কম দামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ হারিয়েছেন বেশির ভাগ কৃষক। 

উপজেলার মুলাডুলি গ্রামের কৃষক খালেক জোয়াদ্দার জানান, এবছর ধানের বাজারদর একটু বেশি। সরকারি গুদামে ধান চেয়েছিল দাম কম হওয়ায় সেখানে বিক্রি করিনি। লোকসান দিয়ে তো ধান বিক্রি করবো না।

উপজেলার প্রতিরাজপুর গ্রামের কৃষক মুরাদ মালিথা বলেন, ফড়িয়া আর মধ্যসত্ত¦ভোগীদের কারণে প্রতি বছর প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ফলে সরকারিভাবে ধান দেওয়ায় আগ্রহ কম।

উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার বলেন, উপজেলায় ৩২৫ টি মিলের সাথে  চুক্তি হয়েছে। প্রায় সকলেই চাল দিয়েছে। সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি লাইসেন্স বাঁচানোর তাগিদে, কেউ কেউ চাল সরবরাহ করলেও অনেকে করতে পারেনি। সরকার যদি চালের দাম ও সময় একটু বাড়িয়ে দেয় সেক্ষেত্রে আমরা মিলাররা যেমন লোকসানের হাত থেকে রেহাই পাবো, তেমনি সরকারের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: শরিফুল ইসলাম জানান,  বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় ধান সংগ্রহ হয়নি। তবে চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় পূরণ হয়েছে। তবে চুক্তি করে চাল না দিলে মিলগুলোর লাইসেন্স স্থগিত, জামানত বাজেয়াপ্তের মত শাস্তির আওতায় পড়তে হয় বলে বেশিরভাগ মিলাররাই সরকারের কাছে চাল বিক্রি করে। যে কারণে ধানের সংগ্রহে পিছিয়ে থাকলেও চালের সংগ্রহ ভালো হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, সরকার এবার বোরো মৌসুমে সারাদেশ থেকে ১,০৮০ টাকা মণ হিসেবে ধান কিনেছে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষকদের কাছ থেকে ৩৭৯ মেট্রিক টন ধান  এবং মিলারদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ধান ও চাউল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয় । গত ১ মে থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল।



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.