× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সীতাকুণ্ডের পাহাড়ের ঢালে মাল্টা চাষের অপার সম্ভবনা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি

০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:২৯ এএম

সীতাকুণ্ডে বিভিন্ন স্থানে এবার মাল্টার ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা অনেক খুশি। ভিটামিনযুক্ত মাল্টা মানুষের দৃষ্টিশক্তির জন্য বহু উপকারী। কৃষি তথ্য সূত্রে জানা যায় এ মাল্টা টনসিলের সমস্যা,নাক বন্ধ থাকা,গলা ব্যাথা,সর্দি,মাথা ব্যাথা ও থান্ডাজনিত সকল রোগ দূরকরে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।

এবার সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ের পরিত্যাক্ত জায়গায় কৃষকরা ৮হেক্টরে ভিটামিন সমৃদ্ধ মাল্টার চাষ করেছেন। তার মধ্যে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দর্ক্ষীণ বাঁশবাড়িয়া পাহাড়ের ঢালে মাল্টার প্রথম চাষে বাজিমাত করেছেন এ ইউনিয়নের হাজী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মনিরুজ্জামানের ছেলে সখিন চাষী প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম। কষ্টকরলে যে ভাল ফল পাওয়া যায় তার একমাত্র দৃষ্টান্ত রেখেছেন এ চাষী।

তিনি বলেন, এবার আমি মাল্টার প্রথম চাষে অনেক লাভবান হয়েছি। দুবাই থেকে আসার পর আমি পাহাড়ের ঢালে প্রথমে আম,লিচু,আপেল কুলের চাষ করেছি। কিন্তু এসব ফল চাষে খরচ পড়ে অনেক বেশি এবং লাভ হয়েছে কম। তারপর এই ব্লকে দায়ীত্বে থাকা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনছুর গত ৪ বছর পূর্বে তিনি আমাকে মাল্টা চাষে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী প্রথম বারের মত ৮০শতক জায়গায় পাহাড়ের ঢালে  ১শ’ টি মাল্টার চারা রোপন করেছি আমি। সে সময় সব মিলিয়ে বিভিন্ন খরচ বাবদ বিশমুক্ত মাল্টা চাষে আমার মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমবার মাল্টা উৎপাদন হয়েছে দেড়’শ কেজিরও বেশি। সেময় আত্মীয় স্বজনদের দেয়ার পরও অন্তত ৩৫ হাজার টাকার মত মাল্টা বিক্রি করেছি বিভিন্ন হাঁট বাজারে। এরই ধারাবাহীকতায়  ২০২১ সালে মাল্টার উৎপাদন হয়েছে প্রায় দেড় টন। তখন ২শ’ টাকা হিসেবে উপজেলার বাড়বকুণ্ড, কুমিরা,ভাটিয়ারীসহ বিভিন্ন স্থানে ১লক্ষ্য ৮০ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন,চলতি মৌসুমে পূর্বের চেয়েও মাল্টার  উৎপাদন অনেক ভাল হয়েছে। সে হিসেবে বাজার দর ভাল থাকলে প্রায় ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। আর কিছুদিন পর মাল্টা পাঁকার পর তা সংগ্রহ শুরু হবে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন মাল্টা চাষে তেমন খরচ হয় না, অন্যান্য ফল চাষে খরচ বেশি। তবে এবার সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় একটু সমস্যায় পড়লেও মাল্টা বাগানের পাশে আমার পুকুর থাকায় সেচ নিয়ে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি। শুধু ঠিক ঠাক মতে গাছের পরিচর্যা করতে পারলেই মাল্টার উৎপাদন ভাল হয়।

এদিকে একই এলাকায় দায়ীত্বে থাকা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনছুর বলেন, মাল্টা চাষে পাহাড়ি মাটিতে তেমন সার লাগেনা। শুধু নিয়মিত ভাবে পরিচর্যা করতে হয়। ফল লাগানো থেকে শুরুকরে মাল্টা উৎপাদনের শেষ পর্যন্ত সখিন চাষী জাহাঙ্গীরের সাথেই ছিলাম আমি। তাকে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল রকম কারিগরী সহায়তা করা হয়েছে। মাল্টা দিন দিন জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত লাভ করে চলেছে এলাকায়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন,সীতাকুণ্ডে ৮ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০জন কৃষক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাল্টার আবাদ করেছেন। তার মধ্যে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের সখিন কৃষক প্রবাসী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের মাল্টার ক্ষেত হচ্ছে অন্যতম। স্বাস্থ্যকর ও গুণাগুণ সমৃদ্ধ মাল্টা ফলের অনেক জায়গা জুড়ে চাষ করছেন। এতেকরে প্রতি মৌসুমে সীতাকুণ্ড উপজেলার কৃষকরা মাল্টা বিক্রিকরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। তিনি বলেন, রক্তে চর্বির পরিমান কমাতে মাল্টা সাহায্য করে আমাদের। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীরা প্রতিদিন নিয়মিত  মাল্টা খেতে পারলে ভাল হয়। পরিত্যক্ত জায়গায় সু-স্বাদু  মাল্টার চাষ করতে পারলে একদিকে যেমন গ্রামীন অর্থনীতিতে বিরাট ভুমিকা রাখতে পারবে, অন্যদিকে অনেক লাভবান হবে কৃষক পরিবার ও দেশ। 



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.