দেশের বাইরে রফতানি নিষিদ্ধ থাকলেও আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সরকারের বিশেষ অনুমতিতে এবছরেও ভারতে যাচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৪টি ট্রাকে ৮ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয় ভারতে।
পুজা উৎসবের আগে পশ্চিমবাংলার মানুষের পছন্দের ইলিশ রফতানির সুযোগ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করবে মত বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টদের। ইলিশ বাংলাদেশিদের যেমন পছন্দের তেমনি ওপার বাংলার মানুষের কাছেও প্রিয়। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ প্রথম চালানটি রফতানি করেছে মাহিমা এন্টারপ্রাইজ। আর আমদানি করে ভারতের এস আর ইন্টারন্যাশনাল। পণ্যের চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করাতে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিল করেন জিইও নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা উপলক্ষে এবার সরকার গত ০৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ৪৯ জন রফতানি কারককে আড়াই হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন। শুল্ক মুক্ত সুবিধায় প্রতি মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হচ্ছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকা প্রায় ৯ লাখ ৩০ হাজার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক মাহাবুব জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার গত ৪ সেপ্টম্বর বাংলাদেশের ৪৯ জন রফতানিকারককে ৫০ টন করে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন হয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইলিশের সব চালান পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। কাস্টমস হাউসের পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব কার্যক্রম শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমানে ইলিশ রফতানি হতো ভারতে। কিন্তু দেশের চাহিদা না মেটায় সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়। তবে পাশ্ববর্তী বন্ধু দেশ ভারতে দুর্গাপুজার আগে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমানে ইলিশ রফতানির সুযোগ দেওয়া হয়।
আজও (মঙ্গলবার) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৮ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে ভারতে।