বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (৬৯) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারতের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) মরহুমের ভাই জালাল উদ্দিন এই মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জালাল উদ্দিন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালমান তাকে ফোন করে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স হাসপাতালে সাবেক এই সংসদ সদস্যের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি পার্বত্য চটগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে চট্রগ্রাম সেনানিবাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিছু সেনা সদস্যের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুরণ করলে এই হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাভোগ করেন।
পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) থেকে নির্বাচিত হন। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আর দলীয় মনোনয়ন পাননি। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল শোক প্রকাশ করেছেন।