বিলে মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ইজারাদার ও জেলেদের মধ্যকার দ্বন্দের অবশেষে অবসান হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের সিংগাবাদ পাথার বিল নিয়ে ইজারাদার - জেলেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এক সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে এ দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার আসমা খাতুন ও গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমাস আলী সরকার সহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা। এছাড়াও বিল ইজারাদারের পক্ষে ইজারাদার আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ৫ জন ও জেলেদের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেরাজুল ইসলাম নবাব সহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিল ইজারাদার তাদের ইজারা নেয়া অংশে মাছ শিকার করবেন। অন্যদিকে জেলেরা ইজারা নেয়া অংশের বাইরে মাছ শিকার করবে। কোন পক্ষই কারো সীমানায় প্রবেশ করতে পারবে না।
বিল ইজারাদারদের পক্ষে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এলাকায় শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে আমরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হওয়া সমঝোতার সকল সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আশাকরি জেলেরাও এই সিদ্ধান্ত মেনে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত এলাকায় মাছ ধরবে।
জেলেদের পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেরাজুল ইসলাম নবাব বলেন, উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে আমরা সাড়া দিয়ে সমঝোতা করে নিয়েছি।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমাস আলী সরকার জানান, ইজারাদার ও জেলেদের মধ্যে মাছ ধরা নিয়ে চলা দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বটি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে সমঝোতার সিদ্ধান্ত সমূহ মেনে চলবে বলে আশাকরি।
সমঝোতা বৈঠকের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা নিবার্হী অফিসার আসমা খাতুন এর সাথে তিনি বলেন, আমার অফিসে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে। আশাকরি উভয় পক্ষ সমঝোতা বৈঠকের সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলবে এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবে।