বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দীর্ঘ দুই বছর নিখোঁজের পর হত্যাকারীদের স্বীকারোক্তি মতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্ধী অবস্থায় এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ। কঙ্কালটি উপজেলার শাসন গ্রামের শরীফ আহম্মেদ ওরফে বাচ্চু শরীফের ছেলে ২৩ বছর বয়সী রানা শরীফের। রানা শরীফ নিখোঁজের পর থেকে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান এবং আটক দুই যুবকের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ওই গ্রামের একটি বাঁশ বাগান থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রানা শরিফের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রানা শরীফ দীর্ঘ দুই বছর আগে নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় রানার পিতা মোল্লাহাট থানায় একটি জিডি করেন। তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছিল যে, রানাকে হয়তো তার বন্ধুরা কিছু করেছে। রানা যাদের সাথে চলাফেরা করতো তারা খারাপ স্বভাবের। অবশেষে মোল্লাহাট পুলিশের প্রচেষ্টায় আজ সঠিক রহস্য উদঘাটন হলো।
রানা শরীফের পিতা শরীফ আহম্মেদ বাচ্চু শরীফ জানান, আমার ছেলের কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখে খুনিরা। আমি আমার ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই।
মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, গত ২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রানা শরীফ নিখোঁজ হন। পরবরর্তীতে রানার পিতা মোল্লাহাট থানায় জিডি করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শাসন গ্রামের মোস্তফা চৌধুরী ছেলে মো.হোসাইন চৌধুরী(৩৯) এনামুল ফকিরের ছেলে রুহুল আমিন ফকির (২৭), হেদায়েত চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী (৩০)' ইউসুফ চৌধুরীর ছেলে মো. নাদিম চৌধুরী (৩২), এবং আবু মোল্লার ছেলে মো, জুয়েল মোল্লা (৩৪) কে গত বুধবার রাতে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুহুল আমিন ও শহিদুল জানায়, তারা মোট পাঁচ জনে (নিখোঁজের দিন) একই গ্রামের মিরাজ চৌধুরীর বাড়িতে রানাকে হত্যা ও লাশ বস্তাবন্ধী করে। এরপর ওই এলাকার নির্জন একটি বাঁশ বাগানে বস্তাবন্ধী লাশ পুতে রাখে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে রুহুল আমিন ও শহিদুলকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখানো স্থানে এলাকার আসাদ শেখের বাঁশ বাগানে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্ধী অবস্থায় রানা শরীফের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয় । জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।