এদিন পটুয়াখালী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদপত্র ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন আলতাফ। অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ফিরছিলেন তিনি।

পথিমধ্যে বদরপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী মোটরসাইকেল আলতাফকে ধাক্কা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফের ছেলে মো. কাওসার জানান, তার বাবা দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড আনতে বাড়ি থেকে শহরের উদ্দেশে যান। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। সুরতহাল শেষে তার লাশ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। শুক্রবার সকালে তাকে দাফন করা হবে।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অতুল চন্দ্র দাস জানান, আলতাফের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সকালে তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। কুশলবিনিময় শেষে একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেই এবং সনদ ও কার্ড গ্রহণ করি। সন্ধ্যায় তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমন দুর্ঘটনা রোধে সড়কে শৃঙ্খলা আনা দরকার। 

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ বাড়ি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান জনান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সকালে নিহত মুক্তিযোদ্ধার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হাওলাদার মৌকরন বিএলপি ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহায়ক ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও ৬ সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।