অবশেষে বরিশাল সিটি করর্পোরেশন ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) বৈঠকের পর বিদ্যুৎ সংযোগ সমস্যার সমাধান হয়েছে। নগরীর সড়ক বাতি ফের চালু হয়েছে। এর আগে সিটি করর্পোরেশনের কাছে বড় অংকের বকেয়া বিল জমায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল ওজোপাডিকো বরিশাল। এতে দুইদিন নগরীর বেশিরভাগ সড়ক অন্ধকারে ডুবে ছিল।
সংকট সমাধানে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল ক্লাবে বৈঠকে বসে সিটি করপোরেশন ও ওজোপাডিকো। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বৈঠক শেষে বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় কর্মকর্তারা সমস্যা সমাধানের পথ বের করেন।
বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে এবং সমঝোতা হয়েছে। তেমন কোনো সমস্যা মূলত হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রটোকল রয়েছে। সেখানে একটু সমস্যা হয়েছে। মেয়র মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকা ও খুলনা থেকে ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা এসেছেন। আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। প্রটোকলগত বিষয়ের কারণে এই দুই দিন সমস্যা হয়েছে। এখন থেকে আর কোনো সমস্যা আমরা দেখছি না।’
ওজোপাডিকো বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। এখন থেকে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের সব কিছুই সমাধান হয়ে গেছে। মূলত আমাদের নিয়মিত বিল নিয়ে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা সবাই মিলে বসে একমত হয়েছি। মানুষ ভোগান্তি থেকে মূলত বেচে গেছে এইটাই বড় বিষয়। সিটি করপোরেশনের মেয়র যখন আমি তখন দায়ভারও আমার। অযথা অযুহাত দিয়ে তো লাভ নেই। এখন থেকে প্রতি মাসের বিল প্রতি মাসে দেয়ার চেষ্টা করব আমরা যাতে বকেয়া না থাকে।’
উল্লেখ্য,বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাওনা ছিল ওজোপাডিকো। এ কারণে নগরীর সড়ক বাতির ১৫টি বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওজোপাডিকো। পরে পুরো নগরীর সব সড়কের বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পাশাপাশি ১৫টি পানির পাম্পের বৈদ্যুতিক লাইনও বিচ্ছিন্ন করা হয়।