× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বাগেরহাট হাকিমপুর সিকদার বাড়ির দুর্গোৎসব

আগের মত দেখা যাবেনা বিপুল সংখ্যক প্রতিমা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:১৩ এএম

বাগেরহাটের হাকিমপুর সিকদার বাড়ি। দুর্গোৎসবে সকলেরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ঐ শিকদার বাড়ি। কত গুলো প্রতিমা দেখা যাবে এবার দুর্গ পুজোয়? কি হতে যাচ্ছে সিকদার বাড়ি? জাঁকজমক দুর্গোৎসব নাকি গত দু'বারের মতো একেবারে সাদামাটা। যেখানে কয়েক বছর আগে ৮৫১ টি প্রতিমা তৈরী করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এই দূর্গা মন্দির। মূলতঃ সত্য ত্রেতা দ্বাপর ও কলি যুগের বিভিন্ন অবতার এবং দেব- দেবীদের নানান কাহিনী তুলে ধরে সনাতন ধর্মের মানুষকে ধর্মের প্রতি আরো আকৃষ্ট করা এই সিকদার বাড়ির লক্ষ্য। আগামী ১লা অক্টোবর ষষ্টি পূজার মধ্যদিয়ে পালিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই দুর্গোৎসব।

বাগেরহাটের হাকিমপুর গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক লিটন শিকদারের স্বর্গীয় পিতা দুলাল কৃষ্ণ শিকদার ২০১১সালে সর্বপ্রথম ১৫০টি প্রতিমা নির্মাণ করে দূর্গা পূজা শুরু করেন। পরবর্তিতে প্রত্যেক বছর ধাপে ধাপে সেই প্রতিমার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ২০১৮সালে ৭০১টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। যা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ পূজা মন্দির হিসাবে পরিচিতি অর্জন করে। ২০১৯ সালে দুলাল কৃষ্ণ শিকদার পরলোকগমন করার পর তার ছেলে শিল্পপতি লিটন শিকদার ও পুত্রবধূ পূজা শিকদার স্বর্গীয় পিতার সম্মানে ১৫০টি বাড়িয়ে মোট ৮৫১টি প্রতিমা নির্মাণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ সাড়া ফেলে দেন। দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয় সিকদার বাড়ির মন্দিরে। সেই থেকে দুর্গোৎসব আসলেই সবার কৌতুহল জাগে কি হচ্ছে বাগেরহাটের হাকিমপুর শিকদার বাড়ী? ৮৫১টি প্রতিমা থাকছে নাকি আরো বাড়ছে এবার পুজোয়।

শুক্রবার ২৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় ঐতিহ্যবাহী সিকদার বাড়ির মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরে শুধুমাত্র প্রধান প্রতিমার রং তুলির কাজ চলছে। চোখে পড়ার মতো আর তেমন কোন প্রতিমা তৈরি হয়নি।বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে রঙের কাজ। পুরো এলাকা জুড়ে পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করে যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্দিরের সামনে বিশাল টিনশেড এলাকায় চলছে আলোক ও সাজ সজ্জার কাজ। ভক্তবৃন্দের এবার শুধুমাত্র প্রধান প্রতিমা দর্শন করেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবে পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে দেবাদেব মহাদেব, রাধা-কৃষ্ণ, মহা কালি, লক্ষি-নারায়ন ও শনি ঠাকুরের প্রতিমা। বেশি সংখ্যক প্রতিমা তৈরি না হলেও সাজসজ্জা থাকবে আগের মতই এবং ভক্তবৃন্দ ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারে স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে শিকদার বাড়ির পক্ষ থেকে।

শিকদার বাড়ির পক্ষ থেকে দৈনিক সংবাদ সারাবেলাকে বলা হয়, দেশ-বিদেশের অনেক ভক্তবৃন্দ মা দুর্গার দর্শন পেতে আমাদের শিকদার বাড়ির মন্দিরে আসে। বর্তমানে করোনা মহামারির চতুর্থ ঢেউ এখনও বিরাজমান রয়েছে। তাছাড়া এই অঞ্চলের ৬ থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা এখনো করোনার টিকা পায় নাই। তাই এবারও আমরা স্বল্প পরিসরে দূর্গা মায়ের পূজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও পূর্বের ন্যায় বেশি সংখ্যক প্রতিমা নির্মাণ করে দূর্গা মায়ের পূজা অর্চনা করা হবে। যতটুকু করা হচ্ছে সেটুকুতেই দৃষ্টি নন্দন ও আর্কষনীয়তার কোন ঘাটতি থাকবে না এবারের পুজোয়। বরাবরের মতো প্রতিমা তৈরীর কারিগর (ভাস্কর) খুলনার কয়রা এলাকার বিজয় কৃষ্ণ বাছাড়।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.