নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলায় বিদ্যুৎ স্পর্শে মরম আলী (৪৮) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে একটি ধানের ক্ষেতের বিদ্যুতের তারের নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরম আলী উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের টেংগা গ্রামে মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে। নিহতের চাচা চাঁন মিয়ার দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারণেই মরম আলীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবারের জন্য মরম আলী গুতুরা বাজার থেকে বাড়ির দিকে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ থাকেন। রাতেও বাড়ি ফেরেনি। পর দিন শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে তার ছোট ভাই সবুজ মিয়া বাড়ির পাশে তাদের ধানের ক্ষেত দেখতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন মরম আলী মাটির উপরে ও ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারটি তার নিচে পড়ে আছে। দেখে সবুজ মিয়া ডাক চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের চাচা চান মিয়া জানান, গত সপ্তাহখানেক আগে ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের একটি খুঁটি থেকে তিন তারের (১১ কেভি) এক তার খুলে ঝুলে পড়ে। আর এ বিষয়টি জানানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতের লোকজনকে বার বার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি। পরে গুতুরা বাজারে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে থাকা লোকদেরকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ঝুলে থাকা তারের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে মরম আলীর এভাবে মৃত্যু হতনা।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী রাশেদুজ্জামান জানান, অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। দায়িত্বে কোন প্রকার অবহেলা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, শুক্রবার দুপুরে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরম আলীর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।