× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঝিনাইদহের চার পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পৌন ৮ কোটি টাকা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩ এএম

ঝিনাইদহের বেশির ভাগ পৌরসভায় আর্থিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যায়ের সঙ্গে আয় না থাকায় একদিকে যেমন পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কাউন্সিলররা নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন না তেমনি কোটি কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। থেমে গেছে পৌরসভার নিজস্ব উন্নয়ন। ইতিমধ্যে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার কারণে দেশের প্রাচীনতম মহেশপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো)। সড়ক বাতি না থাকার করণে মহেশপুর পৌর এলাকা এখন ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। ঝিনাইদহ ওজোপাডিকো সুত্রে জানা গেছে, ৪টি পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ানা ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

ঝিনাইদহ পৌরসভা ইতিমধ্যে ৮৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। এছাড়া কোটচাঁদপুর পৌরসভার বকেয়া রয়েছে তিন কোটি ৭৭ লাখ টাকা, মহেশপুর পৌরসভার বকেয়া দুই কোটি ৭০ লাখ ও কালীগঞ্জ পৌরসভার বকেয়া রয়েছে এক কোটি ৫ লাখ টাকা। ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মহেশপুর পৌরসভার কাছে ওয়েস্টজোন প্রায় ২০ বছরের বিভিন্ন সময়ে সড়ক বাতিসহ নানা খাতের দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা পাবে। বার বার তাগাদা পত্র দেওয়ার পর বকেয়া পরিশোধ না করায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মহেশপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, শহরে থাকি কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই মনে হয় গ্রামে আছি। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার বিরাজ করছে। সড়ক বাতি না থাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান বলেন, বকেয়া বিল মাথায় নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলাম। তবে কয়েক ধাপে বিদ্যুৎ বিল আংশিক পরিশোধ করেছি। পৌর সভার আয় কম থাকায় এতো টাকার বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা চলছে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের আগে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দেয়নি বিদ্যুৎ অফিস। ফলে কত টাকার বিদ্যুৎ বিল আসতো আমার জানা নেই। ২০২০ সালের আগের বিদ্যুৎ বিল না দিয়ে এককালীন ভুতুড়ে বিল চাপিয়ে দিয়েছে।

কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমার সময়ে বিল বাকি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। যে টাকা বাকি রয়েছে তা সবই বিগত দুই মেয়রের সময়কালের। ওই বকেয়া কিছু কিছু পরিশোধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মহেশপুর পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সেকেন্দার হাসান জাহাঙ্গীর জানান, দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা বিল বকেয়া থাকায় পৌরসভার সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিল পরিশোধে পৌরসভা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত সড়কের সংযোগ বন্ধ থাকবে।

ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঝিনাইদহের চারটি পৌরসভার পৌনে আট কোটি টাকার বিল বাকি রয়েছে। বারবার নোটিশ করার পরও পৌর কতৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধ করতে চায় না। ফলে অনিচ্ছা থাকা সত্তেও সড়ক বাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হচ্ছে। তিনি বলেন পৌরসভায় বকেয়া ঠেকাতে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ চলছে।        

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.