চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতীতে ১৯ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ৫২তম সীরাত মাহফিলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিন কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৮ অক্টোবর রোজ শনিবার থেকে ১৯ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এ মাহফিল আরম্ভ হবে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চুনতী সীরাত মঞ্জিলে ৫২ তম মাহফিল উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।উক্ত সংবাদ সম্মেলন
মোতাওয়াল্লি কমিটির সভাপতি ও মাহফিলের প্রবর্তক মরহুম হাফেজ আহমদ শাহ ছাহেব কেবলার দৌহিত্র মাওলানা হাফিজুল ইসলাম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে জাহেদুর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী কমিটির সমন্বয়ক ইসমাঈল মানিক, মোতাওয়াল্লি কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালেক ইবনে দিনার নাজাত, শাহজাদা তৈয়বুল হক বেদার, কাজী আরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাঈম নিমু, মাওলানা জমির উদ্দিন, মাওলানা সাইফুদ্দিন ছিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ বলেন, আশেকে রাসূল (সা:) অলিকুল শিরোমণি মুজাদ্দেদে মাহফিলে সীরতুন্নবী (সা:) ১৯৭২ সালের ১২ রবিউল আওয়াল সারা রাত ব্যাপী শাহ মঞ্জিলের সামনে প্রবর্তন করেন চুনতি গ্রামের মহান আল্লাহর অলি শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ (রা:আ:)।১৯৭৩ সনে ৩ দিন, ১৯৭৪ সনে ৫দিন,ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ দিন পর্যন্ত চলমান থাকে।১৯৮৩ সনে শাহ মাওলানা হাফেজ আহমদ (রা:আ:) মাফিলের ১৯দিন পূর্বে ইন্তেকাল করেন।তবে এরই ধারাবাহিকতায় সীরাত মাহফিল এখনো চলমান রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, সীরাত মাহফিলের ৫২তম অধিবেশনের জন্য ৩ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণার করা হয়েছে।এছাড়া প্রথম দিন থেকে আড়াই হাজার লোক স্বোচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন। শেষের তিন দিন প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক লোক স্বোচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন।পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি ২ হাজারের অধিক লোক স্বেচ্ছসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ১৯দিন ব্যাপী এই মাহফিলে প্রতিদিনই কোরআন ও হাদিসেরে আলোকে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর বক্তাগন আলোচনা পেশ করবেন। মহফিলে আগত মেহমানদের দুপুর ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা ও করা হয়। আগামী ৮ অক্টোবর বাদে যোহর হতে মাহফিল আরম্ভ হয়ে ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।
প্রসঙ্গত, এবার ৫২তম মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটি এ অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতার বৃহৎ মিলনমেলা হিসেবে পরিচিত। মাহফিলে দেশের বিখ্যাত আলেম-ওলামারা নির্ধারিত বিষয়ে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করে থাকেন। এছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়। আখেরি মোনাজাতে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে এসে অনেকে অংশগ্রহণ করেন।