ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ও মাইংকিং করার পর প্রকৃত মালিক মুসলিমা বেওয়াকে তার হারানো ৩৫ হাজার ৫ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে বালিয়াডাঙ্গী বিডিও স্যানিটেশন ফার্মে এ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মটর ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বজলুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মুন্না, সাংবাদিক রমজান আলী, হারুন অর রশিদ, ফজলুর রহমান, মাজেদুল ইসলাম হৃদয় ও গণ উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির ম্যানেজার বেলাল উদ্দীনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
হারানো টাকা পেয়ে মুসলিমা বেওয়া বলেন, এটা আমার অনেক কষ্টের টাকা ছিল। যে টাকা আমাকে ফিরিয়ে দিল তাদের জন্য অনেক দোয়া রইল। টাকা দিয়ে আমার যে উপকার করল তা আমি কখনো ভুলবো না।
টাকা কুড়িয়ে পাওয়া কামরুজ্জামান বলেন, “আমি যখন টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল এটা কোন গরিব, অসহায় ও ঋণগ্রস্ত মানুষের টাকা। এটা যদি আমি ফেরত না দিই তাহলে প্রকৃত টাকার মালিক অনেক কষ্ট পাবে। তাই বিডিও স্যানিটেশন ফার্মের পরিচালক ও সাংবাদিক হারুন অর রশিদের কাছে পরামর্শ করে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার ও মাইকিং করি। পরে প্রকৃত মালিককে পেয়ে টাকা বুঝিয়ে দিতে পেরে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। আর আমার ধারণাটিও সঠিক ছিল যে টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন। তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন।
বিডিও স্যানিটেশন ফার্মের পরিচালক ও সাংবাদিক হারুন অর রশিদ বলেন, অনেকে এই কুড়িয়ে পাওয়া টাকার দাবি করেছিল। কিন্তু তাদের হিসাব অনেক ভুল ছিল। যে টাকা বুজিয়ে পেয়েছে। তার হিসাব একটু গরমিল থাকলেও অনেকটা সঠিক হয়েছে। যদিও আরও অপেক্ষা করতাম কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশ্বাস দেন যে ওই টাকার প্রকৃত মালিক তিনি। পরবর্তীতে অন্য কেউ যদি উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে ওই টাকার দাবি করে তাহলে মুসলিমা বেওয়াকে আবার ডেকে নেওয়া হবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় কাজ। এ যুগে এমন মানুষ পাওয়া সত্যি অবাক হওয়ার মত। টাকা কুড়িয়ে পাওয়া কামরুজ্জামানের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের দিক দিয়ে যাওয়ার সময় ৩৫ হাজার ৫ টাকা কুড়িয়ে পান বালিয়াডাঙ্গী বিডিও স্যানিটেশন ফার্মের ম্যানেজার কামরুজ্জামান। পরে তিনি টাকার মালিকে খোজার জন্য মাইকিং করেন। পরবর্তীতে সেই টাকার অনেক মালিক বের হলেও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।