কক্সবাজারের মহেশখালীতে থামছে না বালি উত্তোলন। বালি দস্যুরা থাবা বসিয়েছে সরকারি বালি মহলে। প্রশাসনের নাকের ডগায় খতিয়ানি জমি থেকে সড়ক উন্নয়নের কাজের জন্য বালি উত্তোলনের নামে পানি চলাচলের চরা থেকে চলছে বালি লুট।
ফলে শাপলাপুর প্রধান সড়কের জেমঘাট বাজারের উত্তর পাশে ব্রিজ হুমকির মুখে ফেলায় বনবিভাগ ও স্থানিয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। প্রশাসনকে বারবার অবহিত করার পরও অদৃশ্য কারণে বালিখেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি সংশ্লিষ্টরা। প্রকাশ্যে স্থানিয় আমির উদ্দিনের পুত্র ইমনের নেতৃত্বে চলছে
বালি বিক্রি এমনটি জানিয়েছেন স্থানিয়রা। প্রতিদিন ডাম্পার গাড়ী যোগে শত শত ঘুনফুট এ বালি বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট বাজারের উত্তর-পূর্বপাশে পানি চলাচলের চরা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার কারণে প্রধান সড়কের ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া পাশ্ববর্তী বাড়ি ঘর ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশ আইনও তোয়াক্কা করছেনা বালি লুটেরা। এর পরেও থামেনি ব্রিজসংলগ্ন চরা থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন। এর প্রভাবে ব্রিজটিও ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে বালি দস্যুরা বলছেন, তারা খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে সড়ক উন্নয়নের জন্য বালি বিক্রি করছে। তবে বালি উত্তোলনের গোল বৃত্তে ও তীর চিহ্নত ছবি বলছে এটি খতিয়ানি কোন জমি নয়,এটি পানি চলাচলের চরা থেকে তারা বালি লুট করে বিক্রি করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মহেশখালীর সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, এসব বালু খেকো ও পাহাড় খেকোদের আইনের আওতায় আনা হউক ।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার জানান, ব্রিজের পার্শ্ববতী স্থান থেকে বালি উত্তোলন করলে ব্রিজের জন্য ক্ষতি হবে। কেউ বালি উত্তোলন করলে তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, কেউ যদি বালি উত্তোলন করলে খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।