× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সম্প্রীতির প্রার্থনায় কক্সবাজারে দেবীকে বিদায়

কক্সবাজার প্রতিনিধি

০৫ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২১ এএম

লাখো পর্যটক আর ভক্তদের উপস্থিতিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হয়ে গেল সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে দুর্গোৎসবের। ধরণীতে থাকা তার সন্তানদের আশীর্বাদ করে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে নামে দেশি-বিদেশি পর্যটক আর ভক্তদের ঢল। এ উপলক্ষে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা বুধবার (৫ অক্টোবর) ছিল প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া দশমী। বুধবার সকাল থেকে কক্সবাজার জেলার পূজামন্ডপগুলোতে বিরহের সুর বেজে ওঠে। মা দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে সন্তানদের আশীর্বাদ করে।

আর মনের কলুসতাকে ঝেড়ে ফেলে আগামীর পৃথিবী হবে সম্প্রীতির ও সুন্দর- এই প্রার্থনায় আগামী বছরের অপেক্ষায় এবার দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালো  কক্সবাজারের হিন্দ ধর্মাবলম্বীরা। ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় দেবীর নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় হিন্দুদের যে উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তার সাঙ্গ হলো বুধবার বিজয়া দশমীতে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, নবমী পূজা সম্পন্নের পর মর্ত্য ছেড়ে নিজালয়ে যাত্রা করেন দেবী দুর্গা। দশমীতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় ত্রিনয়নীর পূজা।

বিজয়া দশমীর সকালে অঞ্জলির পর থেকে থেকে কক্সবাজারের শহর ও রামুর বিভিন্ন মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে তেল সিঁদুর আর পান চিনিতে অশ্রু সজল নয়নে বিদায় জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুর থেকে ট্রাকে কিংবা ভ্যানে করে দেবী দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়  কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাবণি পয়েন্টে।

কক্সবাজার শহরে প্রতি বছরের মতো এবার ও বিষর্জনের প্রধান স্থান ছিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব দেখতে  সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ভক্ত আর পর্যটকদের পদচারণায় লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। লাবনী পয়েন্ট থেকে সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত সনাতন ধর্মবলম্বী, সৈকত আগত পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

শিশু-কিশোর ও তরুণ-যুবক সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় সৈকত প্রাঙ্গণ। ঢাকের বাদ্য আর কাঁসার ঘণ্টায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত ও আশপাশের এলাকা। পান-সিদুঁর আর মিষ্টিমুখ করিয়ে চারদিনের আনন্দ শেষে অশ্রুজলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিদায় দেন দেবীকে। বিসর্জনকে ঘিরে সৈকত এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়। সৈকতের মূল পয়েন্টে প্রতিমাবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় বিসর্জনটি কক্সবাজার সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়। আমরা চেষ্টা করি শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন শেষ করতে। নানা ধর্ম-বর্ণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা এটা করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট এর উন্মুক্ত মঞ্চে চলে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান। বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্মিয় বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, স্থানিয় সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম,জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ প্রমূখ। 

জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় শারদীয়া দুর্গাপূজা। ১ অক্টোবর ষষ্টী, ২ অক্টোবর সপ্তমী, ৩ অক্টোবর অষ্টমী, ৪ অক্টোবর নবমী ও ৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে আজ সমাপ্ত হয় ৫ দিনব্যাপী শারদীয়া উৎসব। কক্সবাজার জেলায় প্রতিমাপুজার সংখ্যা ছিল ১৪৮টি ও ঘটপুজার সংখ্যা ছিল ১৫৮টি। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.