কক্সবাজার পর্যটন নগরী হিসেবে দেশ ছাড়াও দেশের বাইরে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে। এখানে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলমান রয়েছে। কিন্তু সুস্থ নেই কক্সবাজার। হুমকির মুখে রয়েছে এই পর্যটন নগরীর পরিবেশ পুরো জেলার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
কক্সবাজারে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেছেন , 'কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ করতে হবে। দ্বীপাঞ্চলগুলোর পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্যও রক্ষা করতে হবে।' কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার বদলে চলছে ধ্বংস। পাহাড় কর্তন, নদী দূষণ ও দখল এখানে প্রতিযোগিতার মতো।
(বুধবার) ৫ অক্টোবর কক্সবাজার হোটেল উপলে পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে" জেলার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার জেলার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের পরিচালক অধ্যক্ষ নাদিয়া নূর তনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল করিম নোমান, ম্যাক্সিম্যাস গ্রুপের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান মনিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, আমাদের সংগঠন কক্সবাজার জেলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। একদিকে দেশের জনগণ ও প্রশাসনের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কারণে জীববৈচিত্র্য আরো বেশি ধ্বংসের মুখে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, সবুজ আন্দোলন কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। আগামীতে সবুজয়ান বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের প্রাণের জেলা কক্সবাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কক্সবাজারের সম্পদ নিয়ে ধ্বংসের যে তান্ডব চলছে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে তা কালবিলম্ব না করে বন্ধ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের পরিণতিতে উপকূলে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন, জেলিফিশ, তিমিমাছ, বৃহদাকায় কচ্ছপ, হাঙগর ও বিভিন্ন প্রকারের মাছ। চিংড়ি পোনা আহরণের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংসের ফলে সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পাথর উত্তোলনের ফলে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভাঙ্গনের কবলে এবং সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস করার ফলে অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় সোনাদিয়া দ্বীপ আজ দ্বিখন্ডিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলার ২১ হাজার একর বিশিষ্ট উপমহাদেশের অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট কক্সবাজার জেলা হেরিটেজ "চকরিয়া সুন্দরবন "মানুষের নিষ্ঠুরতায় আজ নিশ্চিন্ন হতে চলেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাংবাদিক আমান উল হক বাবুল,
সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সাইফি, মোঃ মইন উদ্দিন, নয়ন সেলিনা, মনির বিন সুলতান, বেলাল উদ্দিন রাকিব, ছাবেকুন্নাহার প্রমূখ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh