সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) তরিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তাররা হলেন জয়পুরহাট সদরের খঞ্জনপুর পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (২৩) ও একই এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে রাব্বি হোসেন (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১ টার মধ্যে জয়পুরহাট জেলা শহরের জানিয়ার বাগান এলাকার একটি বাসার পাঁচতলায় সাজেদা ইসলাম সাজু নামে এক গৃহবধূকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে দুইহাত পিছনে বেঁধে ও মুখে টেপ পেঁচিয়ে নিজ শয়ন ঘরের মেঝেতে মৃত দেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মৃতের স্বামী হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দাখিল করেন। এ মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১২ দিনের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানা এলাকা থেকে দু' জন আসামীকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা জেলার সদর থানার খঞ্জনপুর পূর্বপাড়া বাসিন্দা জহুরুল ইসলামের ছেলে রাব্বি হোসেন (২৩) , একই গ্রামের বাসিন্দা আনিছুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (২৩)।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সাজেদা ইসলাম ওরফে সাজুর দীর্ঘদিনের প্রেমের পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আসামী আবু সাঈদের সাথে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মৃতের ছোট মেয়ে আরিফা এসএসসি পরীক্ষা দিতে যান। এমন সময় বাসা ফাঁকা থাকে। সেই সুযোগ নিয়ে আবু সাঈদ ও রাব্বি হোসেন ওই গৃহবধূর শহরের জানিয়ার বাগান এলাকায় পাঁচতলায় উঠে যান। আসামী দুইজন সাজেদা ইসলাম সাজুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে তিনি রাজি না হওয়ায় পা চেপে ধরে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, আসামী আবু সাইদ ওই এলাকার নর্থ বেঙ্গল স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোশফেকুর রহমান, ডিবি'র ওসি শাহেদ আল মামুন, জয়পুরহাট থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।