× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফুলবাড়ীতে কাদাপানিতে লেপ্টে আছে কৃষকের স্বপ্ন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৬:০৫ এএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গত ২ দিনের টানা বৃষ্টি আর দমকা হাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি খেতের। শতশত কৃষকের স্বপ্নের আমন খেতের ফসল বর্তমানে কাদাপানিতে লেপ্টে আছে।

চলতি রোপা আমন চাষের শুরু থেকে প্রকৃতির সাথে লড়াই চলছে ফুলবাড়ীর কৃষকদের। আমনের চারা রোপনের পরে খরার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অনেক ক্ষেতে দেখা দেয় পোকার আক্রমণ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তৎপরতা আর কৃষকদের হার না মানা লড়াইয়ে জয় কৃষকের। ফুলবাড়ীর দিগন্তজুড়ে খেলা করে সবুজের ঢেউ। কৃষাণ-কৃষাণীরা আশায় বুক বাঁধেন। স্বপ্ন দেখেন ফসল ঘরে তুলে নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠার। তবে তাদের আশার পাতে ছাঁই। তাদের স্বপ্নের আমন খেতের ধান গাছ এখন মাটির সাথে লেপ্টে আছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত কৃষকের পাকা, আধাপাকা, কাঁচা ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বৃৃষ্টি আর বাতাসের তোড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাউসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি ক্ষেত। বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার সাড়ে তিন বিঘা জমির সদ্য শীষ বের হওয়া স্বর্ণ জাতের ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক বাদল সরকার জানান, তার নিজের তিন বিঘাসহ তার ভাই ও চাচির পাঁচ বিঘা জমির ধান গাছ এলোমেলো ভাবে জমির কাদাপানিতে লেপ্টে আছে। এতে জমির ধান পঁচে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ী গ্রামের শামসুল হক জানান, তিনি এবারে দশ বিঘা জমিতে আমন চারা রোপন করেছেন। তার মধ্য প্রায় আড়াই  বিঘা জমির ধান গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এতে ফলন হানির পাশাপাশি গো-খাদ্যে সংকটের সম্ভাবনার কথাও বলেন তিনি। একই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক।

আউশ ও রোপা আমন ধান চাষাবাদের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে ১১ হাজার ৩৫২ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এছাড়াও ১ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আউশ চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বন্যায় ৫১০ হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। সবশেষ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ৩৬৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের তোড়ে যেসকল খেতের ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে সেসব ধান খেতের পানি দ্রুত নিস্কাসনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি জমিতে লুটিয়ে পড়া ধান গাছগুলিকে মুটো করে বেঁধে দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যেসব খেতের ধান আশি ভাগ পেকেছে তা কেটে নেয়ার জন্যও কৃষকদের বলা হচ্ছে। জমিতে ধানগাছ লুটিয়ে পড়ায় ফলনহানির কোন সম্ভাবনা আপাতত দেখছি না।  

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.