ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় আট ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার ভোর পাঁচটা থেকে ময়মনসিংহমুখী সড়কে টঙ্গীর মিলগেট থেকে রাজধানীর বনানী এবং মিলগেট থেকে গাজীপুরের বোর্ডবাজার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা একটার দিকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, বিআরটি প্রকল্পের কাজের কারণে এমনিতেই ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব খানাখন্দে পানি জমে যায়। সড়কের পাশের নালাও নোংরা-আবর্জনায় প্রায় ভরা। এতে নালার পানি উপচে ওঠে সড়কে। তৈরি হয় যানজটের। গত সোমবারের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবারও সকালের দিকে বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সড়ক মেরামত না করায় আজ ভোর থেকেই দেখা দেয় তীব্র যানজট।
উত্তরার হাউস বিল্ডিং ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, দুপুর ১২টার পর থেকে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে। বনানীর যানজট কমে আসে খিলক্ষেত পর্যন্ত। এর মধ্যে বেলা একটার দিকে রাস্তায় যানবাহনের চাপ আরও কমে যায়। এখন (দেড়টা বাজে) যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গত সোমবার এবং গতকালও সড়কে যানজট ছিল। দিনভর ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু আজ সকালের অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়। ভোর পাঁচটা থেকেই যানজট দেখা দেয়। এতে সকাল থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
এর আগে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) অশোক কুমার পাল বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সড়কে গর্ত করে উড়াল সেতুর পিলার তোলা হয়েছে। বৃষ্টিতে সেই গর্তের পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ায় মহাসড়কের ওই অংশে ঢাকামুখী এক লেনে গাড়ি চলাচল করছে। এখানেই মূলত যানজট হচ্ছে।’
আরও পড়ুন
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট