গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আবু জাফর খন্দকারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি খাস পুকুর লিজ প্রক্রিয়ায় এক মৎস্যজীবিকে সরকারি পুকুর নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২ দফায় ২৫ হাজার টাকা ঘুষের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি নান্নু মিয়ার কাছে আশকুর মৌজার নলকুড়ি সরকারি খাস পুকুর লিজ নিয়ে দেওয়ার কথা বলে কাটাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আবু জাফর খন্দকার ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী মোক্তাদির রহমান ৩৫ হাজার টাকা দাবি করেন।
নান্নু মিয়া পুকুর লিজ পাওয়ার আশায় ৩ দফায় ২ জনকে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায় ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু জাফর খন্দকার পুকুর লিজ দেওয়ার ঘুষের টাকা কাটাবাড়ী ইউনিয়নে নিজ অফিসে ১৫ হাজার ও গোবিন্দগঞ্জ বনফুল হোটেলের সামনে মুখে সিগারেট ধরে ১০ হাজার টাকা গণনা করে নিচ্ছেন।
মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি নান্নু মিয়া পুকুর লিজের ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কার্যালয়ের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী মোক্তাদির রহমানের কাছে অফিসে গিয়ে তার হাতে দিয়েছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি নান্নু মিয়া, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আবু জাফর খন্দকারের দিকে তীঁর ছুঁড়ে বলেন, পুকুর লিজের কাগজও নেই এবং ঘুষের টাকাও ফিরত দিচ্ছেন না। চাইলে তিনি উল্টো আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ খবর এখন গোবিন্দগঞ্জে সবত্রই ছড়িয়ে পড়ছে।
কাটাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আবু জাফর খন্দকারের কাছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘুষের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সে টাকা ফিরত দিয়েছি।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ বিন শফিক বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিডিও সংযুক্ত।